করোনায় মৃতের দাফনকারীদের জন্য আলাদা ঈদের জামাত

by

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিকে ঈদের দিনেও দাফন করল কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। দাফন শেষে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আলাদা ঈদের জামাত করা হয়। এদিন সংস্থাটির স্বেচ্ছাসেবীরা যশোরের শার্শা উপজেলার চটকাপোতা গ্রামের  মৃত মো. হুমায়ুন কবিরকে (৫৯) দাফন করেন। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের গ্রেটার যশোরের অর্গানাইজার খান এ আলম মানিক জানান, হুমায়ুন কবির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তার ভাই কর্নেল (অব.) ডা. মোহাম্মদ শাহজাহানের অধীনে রাজধানীতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। মাগরিবের পর স্বজনরা মরদেহ নিয়ে যশোরের শার্শা উপজেলার চটকাপোতা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। আজ সোমবার ঈদের দিন ভোর ৪টায় মরদেহ পৌঁছায় গ্রামে। দরকারি কার্যক্রম শেষে তারা সকাল সাড়ে ৭টায় দাফন করা হয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত হুমায়ুনকে দাফনের সময় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মৃতের বাড়িটিকে লকডাউন করে দেন।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, তাদের টিমে বৃহত্তর যশোরে ২৪ জন কাজ করেন। কিন্তু আজ ঈদের দিন হওয়ায় তারা মাত্র চারজন মিলে মরদেহ দাফন করেন। পরে দাফন কাজে অংশ নেওয়াদের জন্য আলাদাভাবে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এছাড়া ধর্মীয় বিষয়াদির ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও হিন্দু পরিষদ। আজ তারা যশোর ছাড়াও চট্রগ্রামে একটি মরদেহ দাফন করেছেন।