হাসপাতালে একাকীত্বে ঈদ

by

করোনাকালীন এবারের ঈদে আনন্দহীন হয়ে পড়েছে চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্টদের। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, রোগীসহ সবাই আনন্দের পরিবর্তে বয়ে বেড়াচ্ছে দুশ্চিন্তা। ঈদের আনন্দের সময়ে কারোর কাছে নেই পরিবার। সার্বক্ষণিক থাকতে হচ্ছে মহামারি করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। তাদের পাশে হাসপাতালের বেডে করোনাভাইরাসের সাথে একাকীত্বে যুদ্ধ করছে রোগীরা। এ যেন নতুন এক ঈদ চিত্র। 

বিগত ঈদের সময়ে হাসপাতালগুলোতে সাধারণত সবার জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। একসাথে খাবার খেয়ে সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে দিনটি কাটাত চিকিৎসক, নার্স ও রোগীরা। তবে এবারের ঈদে সবকিছু ওলট পালট করে দিয়েছে প্রাণ ঘাতক করোনাভাইরাস। সবাইকে পৃথক করে দিয়েছে এই ভাইরাস।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই পরিবার থেকে আলাদা। এই ঈদ আনন্দেও তাদের দেখা মেলেনি পরিবারের সদস্যদের সাথে। চারিপাশে শুধু করোনা রোগী। এটাকে মৃত্যুকুপ মনে হচ্ছে তাদের কাছে। এখান থেকে বেঁচে ফেরার আনন্দই হতে পারে তাদের জন্য বড় আনন্দের।

প্রায় একই অনুভূতী এই করোনা রোগীদের নিরলস সেবা দিয়ে যাওয়া সেবিকাদের। জানতে চাইলে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের এক নার্স বলেন, বাড়িতে বাচ্চা রেখে আসছি। বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা-মাও আছেন বাড়িতে। খুব কাছে থাকলেও এই ঈদের দিনেও দেখা করা সম্ভব হচ্ছে না তাদের সাথে। এই একাকীত্বের বিষয়গুলো ভূক্তভোগীরা ছাড়া কেউ বুঝবে না।

কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের সমন্বয়ক ডা. শিহাব উদ্দিন জানান, অন্যান্য ঈদে রোস্টার অনুযায়ী সাবই কাজ করতো। এবার সেই সুযোগ নেই। ঈদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগী সবার জন্য কিছু উপহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।