সশস্ত্র রোহিঙ্গার হাতে এক রাতের ব্যবধানে আরো এক খুন
by বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজারমাত্র এক রাতের ব্যবধানে রোহিঙ্গা স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হওয়া আরো একজন বাংলাদেশীর লাশ আজ সোমবার পবিত্র ঈদের দিন সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ। কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া এবং উখিয়া উপজেলার পালংখালীর মধ্যবর্তী আঞ্জুমান খালে হাত-পা বাঁধা আবদুর রশিদ প্রকাশ সাদেক (২৮) নামের স্থানীয় একজনের মৃতদেহ পড়েছিল। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
গত ২৪ মে ভোররাত আড়াইটার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং কাটাখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা নেমে আসে। তাদের সাথে ছিল গত ২৯ এপ্রিল স্থানীয় মিনা বাজার থেকে অপহৃত কৃষক ইদ্রিসও।
রোহিঙ্গা ডাকাত হাকিম বাহিনীর নেতৃত্বে সশস্ত্র সদস্যরা সবাই বিজিবি'র পোশাক পরিহিত ছিল। ডাকাত হাকিম বাহিনীর সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি'র পোশাক পরেছিল নিজেদের রক্ষার জন্য। তারা হোয়াইক্যং উলুবনিয়া মৎস্য ঘের এলাকা দিয়ে যাবার সময় ঘের পাহারায় থাকা কাটাখালী পূর্ব পাড়ার মিয়া হোছনের ছেলে আবদুর রশিদ ওরফে সাদেক টর্চ লাইট মেরে কারা জানতে চায়।
টর্চ লাইট মারার বিষয়টি নিয়ে ডাকাত আবদুল হাকিম ক্ষীপ্ত হয়ে পড়ে। এ সময় ডাকাত দল ক্ষুদ্ধ হয়ে ঘেরে থাকা লোকজনের উপর চড়াও হয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এ সময় তাদেও সাথে থাকা অপহৃত কৃষক ইদ্রিস পালিয়ে যায়। তখন ডাকাত দল ক্ষুদ্ধ হয়ে ঘের পাহারাদার আবদুর রশিদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণের পর ডাকাতদল নাফ নদের তীরে নিয়ে আবদুর রশিদ সাদেককে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হাত-মুখ বেঁধে পালংখালী খালে নিক্ষেপ করে। পরে হোয়াইক্যং ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পাহারাদারের লাশ উদ্ধারের পর মর্গে পাঠায়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ এপ্রিল থেকে মাত্র ২৬ দিনের ব্যবধানে রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ৩ জন বাংলাদেশী গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে।