জাল টাকায় মাদক কিনে ফাঁসলেন ক্রেতা

by

জাল টাকা দিয়ে মাদক কিনে মাদক ব্যবসায়ীর ফাঁদে ফেঁসে গেছেন মাদক ক্রেতা মিজান খান (৩০)। ১০ হাজার টাকার জাল নোটসহ সোমবার তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দড়িউমাজুড়ি গিড়িঙ্গির মোড়ে জনতার কাছ থেকে রবিবার রাতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

সম্প্রতি মাদক ব্যবসাকে ঘিরে জাল টাকা ছড়িয়ে পড়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এসব প্রতিরোধে থানা পুলিশকে আগের মতো সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।

চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক কালের কণ্ঠকে জানান, কালিগঞ্জ বাজারের নিকটস্থ উমাজুড়ি গ্রামের মৃত. কাদের খানের ছেলে মিজান খান। জাল টাকাসহ তাকে জনতার কাছ থেকে তাকে আটক করা হয়। এই বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আরো সংশ্লিষ্টদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

চিতলমারীর সন্তোষপুর ইউনিয়নের দড়িউমাজুড়ি গ্রামের চঞ্চল বসুর ছেলে সমীর বসু জানান, তার ছোট ভাই সুবল বসু ওরফে ঘজুর কাছ থেকে গত ২৩ মে মিজান খান ১০ হাজার টাকা দিয়ে একশ গ্রাম গাঁজা কেনে। পরে দেখা যায় টাকাগুলো জাল। তাই কৌশলে মিজানকে ফোনে তার ছোট ভাই জানায়, ওই টাকার বিনিময়ে মিজান আরো গাঁজা পাবে। তাই ২৪ মে রবিবার রাত ৮টার দিকে মিজান তাদের বাড়ির সামনে আসে। এই সময় মিজানকে ওই জাল টাকা পাল্টে দিতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। জাল টাকা ধরা পড়ার খবর মুহূর্তে চাউর হয়ে যায়। গ্রামবাসী চারপাশ হতে মিজানকে ঘিরে ধরে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। 

সন্তোষপুর ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য শ্রীবাস রায় জানান, সম্প্রতি গাঁজা, ইয়াবা মাদকে এলাকা নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা। বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। প্রশাসনের পদক্ষেপ প্রয়োজন।

স্থানীয় চৌকিদার মনোজ বসু জানান, সন্ধ্যার পর উমাজুড়ি গিড়িঙ্গির মোড় বহিরাগতদের আড্ডায় জমে ওঠে। বিষয়টি থানায় জানিয়েছি।

সন্তোষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নলীনি রঞ্জন ঢালী জানান, মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে কিছু করলে মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগে ক্ষতি কিংবা হত্যার ভয় আছে। ওই চক্র অনেক বড়।