ওদের মুখে ঈদের হাসি ফোটালেন তিনি

by

এই ঈদে কারো দেওয়া নতুন পোশাক ওদের মনে রঙ ধরেছে ঠিকই। কিন্তু ঘরে ওদের খাবার নেই। তাই চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনায় কিংবা এদিক সেদিক ঘুরছিল বেশকিছু শিশু। ঈদের সকাল গড়িয়ে দুপুর। শহরের ছিন্নমূল পরিবার থেকে বেরিয়ে পড়া শিশুর দলের এমন দৃশ্য অনেকের চোখে ধরা পড়েছে ঠিকই। কিন্তু তাদের ভেতরের খবর জানতে চায়নি কেউ।

তবে এমন শিশুদের শরীরে রঙিন নতুন পোশাক দেখে একজন মানুষ তাদের ভেতরের কষ্ট জেনে ফেলেন। শিশুগুলোর মলিন চেহারা দেখেই ওদের জন্য খাবারের আয়োজন করেন এই মানুষটি। মুরগী পোলাও সঙ্গে আরো কত কি। এ সময় শিশুর দলে মলিন মুখে ধরা দেয় হাসির ঝিলিক।

আর যেই মানুষটি এমন শিশুদের মুখে উপাদেয় সুস্বাদু খাবার তুলে দিলেন। তিনি হচ্ছেন, চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। ঈদের দিনে পথেঘাটে ঘুরে বেড়ানো এমন অসহায় শিশুদের মাঝে খাবার দিতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত পুলিশ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। 

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুরের কয়েকটি এতিমখানায় খোঁজ নিয়েছিলাম। সেখানে আশ্রয় পাওয়া এতিম শিশুদের নিয়ে একবেলা খাবার খাবো। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কোথাও সেই পরিবেশ খুঁজে পাইনি। তবে ঈদের দিন এমন অসংখ্য শিশু কাছে মনটা সত্যি ভরে গেলো।

সিয়াম নামে এক শিশু জানায়, বাবা রিকশা চালাতো। একদিন একসিডেন্ট করে পা ভাঙছে। তাই এখন ঘরে। মা এদিক সেদিক ঘুরে তাদের তিন ভাইবোনকে কিছু খাবার তুলে দিচ্ছেন। পাশের বাসার একজন তাদের ভাইবোনদের নতুন পোশাক দিয়েছেন ঈদ করতে। কিন্তু ঘরে আজ ভালো খাবার নেই। তাই পাড়ার কয়েকজনকে নিয়ে ঘুরতে এসে এমন স্বাদের খাবার পেল। সিয়ামের মতো আরো কয়েক শিশু একই কথা জানায়।