'সরকারের ব্যর্থতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে'
by কালের কণ্ঠ অনলাইন'সরকারের কোথাও কোনো দায়িত্বের লেশ আমরা দেখতে পাচ্ছি না, সমন্বয় দেখতে পাচ্ছি না। তারা ব্যর্থ। তাদের ব্যর্থতার কারণে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।'
ঈদের নামাজ শেষে আজ সোমবার (২৫ মে) সকাল ১১টায় জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'করোনা মোকাবিলায় সরকারের তরফ থেকে যে সমস্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না, সমন্বয় ছিলো না এবং এখনো নেই।' সরকারের ব্যর্থতার কারণে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবসময় ঈদের দিন দলীয় কর্মসূচি শেষ করে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতি ঈদে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত করে আসছেন।
ফখরুল বলেন, আমরা এই কথা বলি না যে, এটা তারা পুরোটাই পারবেন। কারণ পুরোটা পারা সম্ভব নয়, নতুন একটা জিনিস। কিন্তু যে ইচ্ছ, যে প্রচেষ্টা, সকলকে আপনার সাথে নিয়ে বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ যারা তাদেরকে সাথে নিয়ে এইটাকে মোকাবিলা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।'
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমরা দেখেছি, কয়েকবার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে সারাদেশেই মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আপনারা দেখলেন এবার ঈদের আগে এবং তারও আগে গার্মেন্টসসহ ছুটি- সব মিলিয়ে এখন সারাদেশের মানুষই করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে প্রায়।'
বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, 'স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে দেখুন- এখন যারা দায়িত্বপূর্ণ লোক আছেন, গুরুত্বপূর্ণ লোক আছেন তারা কিন্তু অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে... যেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে করোনাভাইরাসের হাসপাতাল হিসেবে... সেখানে তারা যাচ্ছেন না। তারা যাচ্ছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।'
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, 'আমরা মনে করি যে, এটা প্রমাণ করে সিভিল হেলথ ব্যবস্থা অর্থাত বেসামরিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙেই পড়েছে। যার কারণে কারো আস্থা সেখানে থাকছে না।' তিনি বলেন, করোনার কারণে লকডাউন করা হয়নি কিন্তু ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে মানুষ আসলে সাধারণ ছুটি ভোগ করছে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি চতুর্দিকে। বিষয়টাতে যে ধরনের গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন ছিল, তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।