এবার ঈদে পর্যটকশূন্য মৌলভীবাজার

by

করোনাভাইরাসের কাররে মৌলভীবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বন্ধ থাকায় নেই কোন পর্যটকের কোলাহল। প্রতি ঈদে পর্যটকের ঢল নামলেও এবারের ঈদুল ফিতরে পর্যটক শূন্য হয়ে হাহাকার করছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ইট-পাথরের বাইরে প্রকৃতির একটু ছোঁয়া পেতে পর্যটকরা ঈদের ছুটিতে ভিড় জমাতেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাতসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। ঈদের দিন ও পরের কয়েকদিন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কয়েক হাজার পর্যটকের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠতো। তবে এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করায় এবার রমজানের ঈদে পর্যটক শূন্য মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলাগুলো।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট সূত্রে যায় যায়, বিশেষ করে রমজানের ঈদে (ঈদুল ফিতর) প্রতিবছর মৌলভীবাজারে সবচেয়ে বেশি পর্যটক দেখা যায় কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেইক, হামহাম জলপ্রপাত, মনিপুরি পাড়ায়। জেলার বিভিন্ন চা-বাগান ও বাইক্কাবিল, বড়লেখার মাধবকুন্ড জলপ্রপাত. কুলাউড়ার কালাপাহাড়, হাকালুকি হাওরসহ শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন স্পটও ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলো পর্যটকদের।

তাছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রভাবে পর্যটকের সংখ্যা শূন্য থাকায় হোটেল রিসোটগুলোর মালিকরাও  পুঁজি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। কেননা এই পর্যটকদের ৯৫ শতাংশই থাকার জন্য বেঁচে নিতেন মৌলভীবাজার সদর, কমলগঞ্জ- শ্রীমঙ্গলের প্রায় ৭০ টি হোটেল রিসোর্টকে। এসব হোটেল-রিসোর্ট প্রতি বছর ঈদের সময় কয়েক হাজার পর্যটক আগাম বুকিং দিয়ে রাখেন। কিন্তু এই বছর পর্যটকের সংখ্যা শূন্য। সেই সাথে দীর্ঘদীন বন্ধ থাকায় পুঁজি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, বন্ধ থাকলেও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য কর্মচারী রাখতে হচ্ছে। যেহেতু কোন আয় নেই তাই পুঁজি ভেঙ্গে বেতন দিতে হচ্ছে তাদের।

লাউয়াছড়া বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের শ্রীমঙ্গলস্থ রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসন বলেন, ‘প্রতি ঈদের দিন ও পরের কয়েকদিন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কয়েক হাজার পর্যটকের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠতো। তবে এ বছর করোনা ভাইরাসের কারনে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় পর্যটক শূন্য।’