করোনায় হাসপাতালে বাবা, পাঞ্জাবি পরিয়েই শান্তি ছেলের

by

কোভিড হাসপাতালের আশপাশেও পৌঁছাতে পারেনি ঈদ আনন্দ। বেদনা আর আহাজারিতে একবারেই বিবর্ণ। বাইরে স্বজনের উৎকণ্ঠা আর ভেতরে রোগীর অসহ্য যন্ত্রণা। তবে এমন পরিস্থিতিতেও থেমে নেই চিকিৎসকরা।

আক্রান্তদের স্বজন মেনে ঈদের দিনেও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিরবচ্ছিন্নভাবে।

ঈদটা এবার চেনা নয়, ভিন্ন রকম। আর এই দিকটায় বিষাদের রঙ আরো গাঢ় নীল। এখানে অপেক্ষার প্রহর আতঙ্কের, কষ্টের, বেদনার, সেই সঙ্গে হৃদয় নিংড়ানো হাহাকারের।

তবুও এই দুঃসময়ে মানুষগুলোকে সাহস দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। করোনার ভায়াল থাবা থেকে। তারাই দিনরাত এক করে জমের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনছেন রোগীদের। পরিবারের সান্নিধ্য ত্যাগ করে হাসপাতালকেই ঘরবাড়ি বানানো এই মানুষগুলোর পণ মহামারি শেষ করে তবেই হবে উৎসব।


একজন রোগীর ছেলে বলেন, ‘বাবা হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি। কিন্তু তাকে পাঞ্জাবি পরিয়েছি এটাই যেন শান্তি।’

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জামিল বলেন, আজকের দিনটা অন্যান্য দিনের মতো সাধারণ দিন। কারো মনেই ঈদের কথা নেই।

এদিকে সোমবার (২৫ মে) দুপুর বারোটা নাগাদ এই ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা আর ঈদ শুভেচ্ছা দিতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আসেন উত্তরের মেয়র।


উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নিজের জীবনের হুমকি নিয়ে আরেকজনকে বাঁচাচ্ছেন। তাই আপনাদের জানাই ধন্যবাদ।

দূরে থেকেও পাশে থেকে, মমতায় আর্দ্র মন নিয়ে এগিয়ে এলে এই কঠিন সময়ও পার করাটা সহজ হবে বলে মনে করেন সবাই।