মির্জাপুরে বাবার-মেয়ের পর এক পুলিশ সদস্যসহ একদিনে ৬জন করোনা আক্রান্ত, মোট ২৪ জন আক্রান্ত

by

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাবা-মেয়ের পর এক পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২০ মে স্বাস্থ্যকর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায়। এর মধ্যে মির্জাপুরের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশের এক সদস্যসহ সোমবার ৬ জনের করোনা পজিটিভ আসে। অন্য আক্রান্তদের বাড়ি উপজেলার    ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, বহুরিয়া ও ভাওড়া ইউনিয়নে। তারা ঢাকা, গাজিপুুর ও নারায়নগঞ্জে চাকরি করেন।

এদিকে ঈদ উল ফিতরের আনন্দের দিনে ৬ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর মির্জাপুরে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক আক্রান্তদের আইসোলেশনে পাঠানো ও আক্রান্তদের বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউনের পক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

স্বাস্থ্যকর্মীরা মির্জাপুর থেকে এ পর্যন্ত ৬৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ২০ মে পর্যন্ত ৬১৪ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন সংবাদকর্মী ও একজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২৪ জন করোনা পজিটিভ হয়। বাকিদের নেগেটিভ আস।

এদিকে করোনা পজিটিভ ৫৫ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। দুইজন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অন্যরা হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম জানিয়েছেন।   

গত ১৪ মে  শিশু কন্যার বাবা মির্জাপুর উপজেলা কৃষি অফিসের নাইট গার্ড করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরে উপজেলা প্রশাসন পরিষদ চত্ত্বরের স্টাফ কোয়াটার ও আশপাশের ২০টি পরিবারকে  লকডাউন করেন। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তি বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির সাথে চলাফেরা থাকায় ১৬ মে শনিবার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২১ মে পরিবারের অন্য সদস্যদের নেগেটিভ আসলেও ওই শিশু কন্যার করোনা পজিটিভ আসে। এতে ওই শিশুর পরিবারসহ আশপাশের বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

টাঙ্গাইলের ১২ উপজেলার মধ্যে মির্জাপুরে সর্বাধিক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম বলেন, মির্জাপুর উপজেলা ঢাকা ও গাজীপুর জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা। এ উপজলায় গাজীপুর, ঢাকা, নায়নগঞ্জ, সাভারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসেছে। মানুষ সচেতন না হওয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে উপজেলাবাসীকে স্বাস্থ্য বিধি মেনের চলার আহবান জানান। 
আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. জুবায়ের হোসেন ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুর রহমান বলেন, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন করোনা ভাইরাস রোধে নিরলসভাবে দিনরাত কাজ করে চলেছেন। 
পজিটিভ আসা ৬ জনকে আইসোলেশনে এবং তাদেরবাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউনের পক্রিয়া চলছে। উপজেলাবাসীকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নিরাপদে চলার আহবান জানান।