‘চুলাডাও নেই যে পাক করে খামু’
by এম এ আজিমআনন্দ নয়, সন্তানের মুখে খাবার তুলে না দিতে পারা; আর নতুন নয়, অন্তত ধ্বংস স্তূপের মধ্য থেকে ছেঁড়া জামাটিও খুঁজে দিতে না পারার বেদনা নিয়ে ঈদ কাটছে উপকূলের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের।
ঈদের এই দিনটিতে তাদের দাবি, উপহার হিসেবে তাদের যেন দেয়া হয় সুরক্ষিত বসবাসের সুবিধা। প্রশাসন বলছে, পুনর্বাসনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তারা।
ফিরনি বা সেমাই রান্না নয়, পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে ঈদের দিনটিতেও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে সকাল থেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা রান্না করার হাড়ি ও আসবাবপত্র। নতুন জামা নয়, ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে সন্তানের গায়ে থাকা কাদা মাখা জামাটি পাল্টে পুরনো আরেকটি জামা পরানোর চেষ্টা নিঃস্ব বাবা-মা’র। সন্তানদের নানা আবদার আনন্দের এই দিনটিতে কাঁদিয়েছে হাজারো মানুষকে।
অসহায়দের একজন বলেন, 'চুলাডাও নেই যে পাক করে খামু।'
কান্না করতে করতে একজন জেলে বলেন, 'কিছুই নেই, কর্ম নেই তার উপর ৬৫ দিনের অবরোধ। এখন আমরা জেলেরা যে কি করে বাঁচবো তা উপর আল্লাহ জানে।'
ঈদ উপহার হিসেবে দিশেহারা এ মানুষগুলো শুধু চাইছে নদীপাড়ে সুরক্ষিত বাঁধ আর নিরাপদে বসবাসের সুবিধা। যা তাদের একদিনের আনন্দ নয়, সারা বছরের ভালো থাকার চাবিকাঠি।
সবাইকে না পারলেও কিছু ঘরহারা মানুষকে টিন, আর ঈদের আনন্দ পৌঁছে দিতে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন বরগুনা তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে ২০ টি পরিবারের মধ্যে নগদ সহায়তা প্রদান করেছি।'
ঘূর্ণিঝড় আম্পান বরগুনা জেলার ৯ হাজার ৮শ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত করেছে।