https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/1600x0x0/uploads/media/2020/04/30/2332795b645f1a7c2efe3d19006ef2ef-5eaaba4dea588.jpg

কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় নমুনা নেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

by

করোনাভাইরাস শনাক্তে নিজেদের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে নমুনা পরীক্ষা শুরু কতে যাচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কাল মঙ্গলবার থেকে গবেষণার জন্য তারা এ কার্যক্রম শুরু করবে।

আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নমুনা সংগ্রহের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড ১৯ রেপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বিজ্ঞপ্তিটি পাঠান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) অনুমোদিত জিআর কোভিড ১৯ র‍্যাপিড ডট ব্লট কিটের অভ্যন্তরীন গুনগত মান পরীক্ষার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে কাল মঙ্গলবার নমুনা সংগ্রহ করবে। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে এ রকম ৫০ জনের কাছ থেকে বিএমআরসি অনুমোদিত নিয়মে আগে এলে আগে নেওয়া হবে ভিত্তিতে লালা এবং রক্ত বা যে কোন একটি নমুনা সংগ্রহ করা হবে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানায়, এই নমুনা সংগ্রহ গবেষণার অংশ, কোন সেবা বা রোগ নির্ণয়ের অংশ নয় ।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনাভাইরাস শনাক্তকারী ২০০ কিট গত ১৩ মে বিএসএমএমইউতে হস্তান্তর করে। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে এখন পর্যন্ত কিটের কার্যকারিতা বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

আরও অনেক সময় নিতে পারে বলে তিনি হতাশা প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা শুধু গবেষণার জন্যই করবেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নির্দিস্ট সময়ের মধ্যে যিনি টেস্ট করতে আসবেন, তাকে একই দিন বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হবে। যেহেতু সরকার এখনো এই কিট ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি সেক্ষেত্রে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে গেলে করোনাভাইরাসের জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল তা গ্রহণ করবে কিনা জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, 'সেটা না করলে আমরা কিছু করতে পারব না।'

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নমুনা নেওয়া শুরু করলে সরকার যদি তা অবৈধ ঘোষণা করে- এমন প্রশ্নের জবাবে এই ট্রাস্টি চিকিৎসক বলেন, সে ভাবনা মাথায় নিয়েই তাঁরা এ কাজ শুরু করছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, নমুনা সংগ্রহের জন্য অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষার জন্য মোট ৭০০ টাকা নেওয়া হবে।