চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বাগানে পড়েছিল ব্রাক কর্মকর্তার মরদেহ
by মাহফুজ মামুনচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা মুন্সীপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ব্রাক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গলায় দাগ ও কানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ মে) সকালে বাংলাদেশ সীমান্তের ২শ’ গজ অভ্যন্তরে মুন্সীপুর এলাকার একটি মেহগুনি বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে মরদেহ। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে তাকে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
নিহত সাইফুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের নতুনপাড়ার আবদার আলির ছেলে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ব্রাকে কর্মরত ছিলেন।
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, রোববার সকালে সাইফুল ইসলাম মাংস কেনার জন্য পীরপুরকুল্লা বাজারে যান। এসময় একই গ্রামের নাজমুল হাসান রতন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিএনপি করা নিয়ে কথাকাটি হয়। এসময় রতন তাকে বিএনপি করিস এমন কথাও জিজ্ঞাসা করে। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাইফুলকে মারধর করে রতন। ঘটনাস্থল থেকে সাইফুল বাড়ি ফিরে আসেন।
সাইফুলকে তার বন্ধুরা দুপুরে বাজারে আসার জন্য ডাকে। তারপর সন্ধ্যায় সাইফুলের স্ত্রী তাকে মোবাইল ফোনে কল দিলে সে আর রিসিভ করেননি। পরিবারের লোকজন রাতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাকে পাননি।
সোমবার সকালে স্থানীয়রা পুলিশকে জানান দামুড়হুদা মুন্সীপুর সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মেহগুনি বাগানে সাইফুল ইসলামের মরদেহ পড়ে আছে।
দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল বলেন, সাইফুল হত্যা রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। স্থানীয় রতন নামে এক ব্যক্তির সাথে রোববার ঝামেলা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। আর অন্য কোনো বিষয় আছে কিনা সেগুলো দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।
হত্যার সাথে জড়িতদের অল্প সময়ের মধ্যে আটক করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।