ঘূর্ণিঝড়ের ৫ দিন পরেও সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/05/25/a7bee9c2161c681d4a8432cf26da85f8-5ecbb108b1995.jpg
অনেক এলাকার বিদ্যুতের খাম্বাগুলো মাটিতে পড়ে গেছে

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া সাতক্ষীরার উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন হয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড়ের পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।




সরেজমিন দেখা যায়, শ্যামনগরসহ বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুতের খাম্বা এখনও পানিতে পড়ে আছে।এছাড়া কলারোয়া, তালা ও আাশাশুনি উপজেলার অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন স্বাভাবিক হয়নি। শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ও আশাশুনির প্রতাপনগরে বিদ্যুৎ কবে আসবে বলতে পারছেন না কেউ।
কলারোয়ার বাসিন্দা আরিফ মাহমুদ জানান, কলারোয়া পৌরসভার কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ আছে। উপজেলার অধিকাংশ জায়গায় এখনও বিদ্যুৎলাইন ঠিক করতে পারেনি, সেজন্য তারা এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে।
তালা উপজেলার মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ের আগে বিদ্যুৎ গেছে। পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও বিদ্যুৎ আসেনি। অনেক খুঁটি মাটিতে শুয়ে আছে।’
পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউর রহমান বলেন, ‘এই ইউনিয়নে বিদ্যুৎ লাইন এসেছে আশাশুনির প্রতাপনগর হয়ে। প্রতাপনগর ও পদ্মপুকুরের অধিকাংশ বিদ্যুতের খুঁটি পানিতে শুয়ে আছে। বিদ্যুৎ কবে দেবে জানি না। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলের নেটওয়ার্ক কাজ করছে না।’
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার সাহা বলেন, ‘আম্পানে বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৭৪৫টি খাম্বা ভেঙে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। ৯৫৫টি মাটিতে শুয়ে পড়েছে। আমরা রাত-দিন কাজ করছি। দ্রুত সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালীনি, পদ্মপুকুর, গাবুরা এলাকায় এখন জোয়ার-ভাটা হচ্ছে। সে কারণে আমরা কাজ করতে পারছি না। এলাকায় পানি ওঠা বন্ধ হলেই আমরা কাজ শুরু করবো।’