করোনা রোধে দরকার প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন, নিজস্ব নয়
by সাদাত রহমতুল্লাহবাংলাদেশে করোনার বিস্তার রোধের সক্ষমতা রয়েছে। তবে তার জন্য সেলফ আইসোলেশন নয়, দরকার প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন। এমন মত বিশেষজ্ঞদের।
সেক্ষেত্রে বসুন্ধরার নবনির্মিত হাসপাতালকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করার পরামর্শ তাদের। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো এগিয়ে এলেই এটি সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কোভিড নাইনটিনে আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে এলে বা উপসর্গ দেখা দিলেই নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার পরামর্শ চিকিৎসকদের। তবে ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ নগরীতে কতটা সম্ভব সেলফ আইসোলেশন?
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ৬০৩টি সরকারি এবং ৪ হাজার ২৮০টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা করে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান বলেন, সেলফ আইসোলেশন ফেইল করেছে, তবে আইসোলেশন ছাড়া ট্রান্সমিশন কমানো যাবে না।
ভাইরোলোজিস্ট ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, এই যুদ্ধ একা করা কঠিন। তাই সেক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন খুবই কার্যকর।
করোনা সংক্রমণ রোধে ভারতের গোয়া রাজ্য মডেল। তারা আক্রান্ত এলাকাকে ভাগ করে। এরপর স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার উপসর্গ আছে এমন রোগীদের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।এর ফলে সে রাজ্য এখন করোনা মুক্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের গোয়া রাজ্যের মতো মডেল কার্যকর হতে পারে। তবে তার আগে বাড়াতে হবে পরীক্ষার সংখ্যা।
করোনা আক্রান্তদের জন্য বেশ কয়েকটি স্থানে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন ইউনিট তৈরির কাজ চলছে বলে জানালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা বলেন, মোকাবিলা করার সক্ষমতা তো আমাদের আছে। ডাক্তার-নার্স আছে। হাসপাতালও তৈরি আছে। রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ২ হাজার রোগীর জন্য আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে।