করোনায় টানা ৬ দিন রেকর্ড
by সাদ্দিফ অভিদেশে করোনা শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ঈদের দিন সাড়ে ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে আর মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০০। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া বিগত ৬ দিনের তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, গত ২০ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিনই শনাক্ত অথবা মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিদিনই জনসাধারণকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার জন্য এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ঈদেও ঢাকা ছেড়ে বাড়ি না যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত ২০ মে থেকে তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, ওইদিন করোনা শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬১৭, মৃত্যু ছিল ১৬ জন। যা গত ১৮ মে’র রেকর্ড ১ হাজার ৬০২ জন অতিক্রম করে। এরপর ২১ মে সনাক্ত এবং মৃত্যুর রেকর্ড দুই রেকর্ডই ভেঙেছে। এদিন শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৭৩ এবং মৃত্যু ছিল ২২ জন। এর আগে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ১৮ মে, যার সংখ্যা ছিল ২১। ২২ মে মৃত্যুর রেকর্ড অতিক্রম করে আবারও, এদিন শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৯৪ এবং মৃত্যু ছিল ২৪। ২৩ মে তে আবারও শনাক্তের রেকর্ড অতিক্রম করে, এদিন শনাক্ত ছিল ১ হাজার ৮৭৩ জন এবং মৃত্যু ছিল ২০ জন।
২৪ মে আগের মৃত্যুর রেকর্ড অতিক্রম করে আবারও। এদিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৩২ এবং মৃত্যু ছিল ২৮ জন, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এরপর আজ সোমবার (২৫ মে) আবারও শনাক্তের নতুন রেকর্ড হয়। এদিন শনাক্ত ছিল ১ হাজার ৯৭৫ জন এবং মৃত্যু ছিল ২১ জন।
৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি
মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় গত ৬ দিনে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের। এর মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য বয়সের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। ৬ দিনে এই বয়সের মানুষ মৃত্যু বরণ করেছেন ৫০ জন। এর মধ্যে গত ২০ মে ৫ জন, ২১ মে ১০ জন, ২২ মে ৫ জন, ২৩ মে ৮ জন, ২৪ মে ১৩ জন এবং ২৫ মে ৯ জন।
ঈদের দিন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, সচেতনতার কোনও বিকল্প নেই। আমরা যেসব স্বাস্থ্য নিয়ম বলি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে মেনে চলা আমাদের দায়িত্ব। নিজের পরিবারকে এবং দেশকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকেরই। প্রধানমন্ত্রী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা যদি সচেতন না হই কোনও কাজ সফল হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্ল্যানিং এবং গবেষণা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। আপনার বাসার যিনি বাইরে যাচ্ছেন তিনি জানেন না অজান্তে এই ভাইরাস বহন করছেন কিনা। সুতরাং বাসায় যদি ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ থাকে সেক্ষেত্রেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যারা গ্রামে গেছেন তাদের কাছে অনুরোধ আপনারা আপনাদের পরিবারকে সুস্থ রাখবেন। আপনারা অহেতুক মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করবেন না। মেলামেশা করে অন্যকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না।