https://www.somoynews.tv/img/upload/medium/khaleda-eid-215534.jpg

বাসায় ঈদ করবেন খালেদা, এতেই ‘উজ্জীবিত’ নেতাকর্মীরা

by

চার ঈদ জেলে কাটানোর পর এবার বাসায় ঈদ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারছেন না তিনি।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সাক্ষাৎ না পেলেও নেত্রী জেলের বাইরে থাকায় নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত।

বাসায় চিকিৎসা নেয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে দু’মাস আগে সরকারি সিদ্ধান্তে মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর থেকেই বাসায় তিনি। এ সময়ের মধ্যে মহাসচিব ছাড়া কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গে দেখা করেননি বিএনপি নেত্রী।

বিএনপি নেতারা বলছেন, করোনা দুর্যোগের সময় জেল থেকে বের হওয়ায় মুক্তির স্বাদ তিনি পাননি। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলেও এই দু’মাসে তিনি মানসিকভাবে চাঙ্গা রয়েছেন বলেও জানান তারা।


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মূল অসুখ যেটা আর্থ্রাইটিস এটা তার খুব বেশি উন্নতি হয়নি। ডাক্তারদের পরামর্শে চিকিৎসাধীন আছেন। শুধু উন্নতির মধ্যে একটু উন্নতি হয়েছে তিনি একটু খেতে পারছেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নিজের বাড়িতে বলেই মানসিকভাবে আগের থেকে বেগম জিয়া স্ট্রং আছেন। মানসিকভাবে স্ট্রং থাকলে সম্পূর্ণ আরোগ্য না হলেও রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।'

চার ঈদ জেলে কাটালেও জামিনে মুক্ত বেগম জিয়া এবার করোনার কারণে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারছেন না। বিএনপি নেতারা বলছেন, তারপরও নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত।


তবে মুক্তির মেয়াদ শেষ হলে কি হবে এটিও ভাবিয়ে তুলছে তাদের।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘প্রত্যেকটা নেতাকর্মীর মনে একটা উচ্ছ্বাস আছে। ওনার কাছে যাবো কথা বলবো। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে যাচ্ছি না। ৬ মাসের মুক্তি দিয়েছে, এরপর কি করবে তাও ভাবার বিষয়।’

বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হোক বা না হোক আদালত খুললে স্থবির হয়ে থাকা দুর্নীতির মামলার শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর মানবিক কারণে বেগম জিয়ার সাজা স্থগিত করে গত ২৫ মার্চ ছয়মাসের জন্য তাকে মুক্তি দেয়া হয়।