https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/1600x0x0/uploads/media/2017/06/08/eacff6dcde871fb04f29eb9e411a4f41-59394f5911e2d.png?jadewits_media_id=865586

১০ মিনিটের ঝড়ে তিন শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত, আহত ১০

by

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে তিন শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার এ ঝড়ে শিশু ও নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। প্রায় ১০ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে বোরো ফসলসহ গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আহতদের মধ্যে মল্লিকপুর গ্রামের এক বৃদ্ধা (৬৫) ও পাঁচ বছরের এক শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় হঠাৎ করে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ১০ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে সুনই, গোয়াতলা, বরতলি, মুনসুরপুর, নারায়ণপুর, বানিয়াজান, আটিকান্দা, নুনেশ্বর, মল্লিকপুর, দেওগাও, পোখলগাঁও, অভয়পাশা, সীতারামপুর, পাহাড়পুর, স্বমুশিয়াসহ অন্তত ২৫টি গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত ও অনেক গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তারের ওপর গাছের ডালপালা পড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে থাকায় ওই সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝড়ে ফসল ও গাছের আম-কাঁঠালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আটপাড়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও পুখলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো. মনিরুজ্জামান বাবুল বলেন, সকাল সাড়ে আটটায় গোসল করে ঈদের নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হঠাৎ প্রচণ্ড বেগে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নুনেশ্বর, স্বমুশিয়া, বানিয়াজান ও সুনই ইউনিয়নে। এ ছাড়া তিনটি ইউনিয়নেও আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আটপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক শিশু ও এক বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জানান, ঝড়ে ঘরবাড়ির পাশাপাশি উঠতি বোরো ফসল ও আম-কাঁঠালের ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়ায় নেত্রকোনা-আটপাড়া সড়কসহ বেশ কিছু গ্রামীণ রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

আটপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা সুলতানা বলেন, ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ বিবরণ এখনো পাওয়া যায়নি। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি জানান, এর আগে ১৫ মে দুপুরে ঝড়ে উপজেলার দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।