মহামারি প্রতিরোধে সরকারের কর্মকাণ্ডে কোনও সমন্বয় নেই: বিএনপি
by বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট![https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/05/25/5735cff62ed3760757759d3c70156a20-5ecb7ae58d1c7.jpg https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/05/25/5735cff62ed3760757759d3c70156a20-5ecb7ae58d1c7.jpg](https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/05/25/5735cff62ed3760757759d3c70156a20-5ecb7ae58d1c7.jpg)
করোনা মহামারি প্রতিরোধে সরকারের কর্মকাণ্ডে কোনও সমন্বয় নেই বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি বেসামরিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙেই পড়েছে। সোমবার (২৫ মে) ঈদের নামাজ শেষে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
এসময় তার সঙ্গে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা জিয়াউর রহমানের কবরের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ মোনাজাত করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সরকারের তরফ থেকে যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, আমাদের কাছে মনে হয়েছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না, সমন্বয় ছিল না এবং এখনও নেই। করোনাভাইরাসকে ন্যূনতম প্রতিরোধের কাছাকাছি আনার চেষ্টা করা থেকেও তারা (সরকার) ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এই কথা বলি না যে, এটা তারা পুরোটাই পারবেন। কারণ পুরোটা পারা সম্ভব নয়, নতুন একটা জিনিস। কিন্তু যে ইচ্ছ, যে প্রচেষ্টা, সবাইকে আপনার সঙ্গে নিয়ে, বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ যারা— তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এটাকে মোকাবিলা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।’
সরকারের ব্যর্থতার কারণে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কয়েকবার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে সারাদেশেই মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আপনারা দেখলেন— এবার ঈদের আগে এবং তারও আগে গার্মেন্টস ছুটি, সব মিলিয়ে এখন সারাদেশের মানুষই করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে প্রায়। প্রতিদিন সংখ্যা বাড়ছে এবং বৃদ্ধির কারণটা হচ্ছে যে, পরীক্ষা হচ্ছে, বেশি সংক্রমিত সংখ্যাও সেজন্য বাড়ছে।’
বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে দেখুন, এখন যারা দায়িত্বপূর্ণ লোক আছেন, গুরুত্বপূর্ণ লোক আছেন, তারা কিন্তু অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে যেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে করোনাভাইরাসের হাসপাতাল হিসেবে, সেখানে তারা যাচ্ছেন না। তারা যাচ্ছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, এটা প্রমাণ করে সিভিল হেলথ ব্যবস্থা অর্থাৎ বেসামরিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙেই পড়েছে, যার কারণে কারও আস্থা সেখানে থাকছে না।’’
ফখরুল বলেন, ‘করোনাভাইরাসে লকডাউন করা হয় নাই, কিন্তু ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে মানুষ আসলে সাধারণ ছুটি ভোগ করছে, আমরা যা দেখতে পারছি চতুর্দিকে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সরকার এই বিষয়টাতে যে ধরনের গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন ছিল, তা দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।’
‘সমগ্র দেশের মানুষ সুস্থ থাকুক এবং তারা করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকুক’, এই কামনাও করেন ফখরুল।
এসময় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানও উপস্থিত ছিলেন।