পেট্রাপোল বন্দরে আটকে আছে দুই হাজারের বেশি পণ্যবাহী ট্রাক

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/05/25/48e48e5b656d0f93f734db177de26e2e-5ecb53b55727a.jpg
বেনাপোল বন্দরের প্রবেশপথ

বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সেন্ট্রাল পার্কিং ও বনগাঁ পৌরসভার কালিতলা পার্কিংয়ে আটকে আছে দুই হাজার তিনশ’ পণ্যবাহী ট্রাক। ব্যবসায়ীরা জানান, ট্রাকগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে না করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় সীমান্তের ওপারের স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিরোধের কারণে।

ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘সীমান্তের স্থানীয় মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করে আমরা পণ্য পরিবহন চালু করতে পারি না। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ সহযোগিতার প্রয়োজন।’

সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বনগাঁ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং সংলগ্ন বাজার প্রশাসনের পক্ষে ‘কন্টেনমেন্ট জোন’ ঘোষণা করেছে। যশোর রোড (বনগাঁ-বেনাপোল), চাকদারোড ও বাগদা রোড কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায়। এ কারণে যশোর রোডসহ বাগদা, চাকদা রোড অবরুদ্ধ রয়েছে। ফলে এই পথ যান চলাচল কবে চালু হবে তা এখন স্থানীয় প্রশাসন ছাড়া কেউ জানেন না।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘করোনার কারণে আজ দুই মাস বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ। বন্দর সংশ্লিষ্ট হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। কবে এ বন্দর খুলবে তার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।’

ওপারের ব্যবসায়ীদের মন্তব্য, স্বাস্থ্য সচেতনতা অপরিহার্য, তবে যশোর রোড অবরুদ্ধ করে দীর্ঘ অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়লো সীমান্ত বাণিজ্য। বহু মানুষ হারালো তাদের রুজি-রুটি।