রমজানের শেষদিনেও লুকোচুরির বেচাকেনা
by রাণীশংকৈল( ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে ঈদের দিন যত ঘনিয়ে, দরজা বন্ধ করে বেচাকেনা ততই জমজমাট। চান রাতেও ঈদ মার্কেট জমে উঠেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বিপণিবিতানগুলোতে বেচাকেনা। এনিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
রানীশংকৈল বিভিন্ন শো-রুম, পিপুলতলা মার্কেট, হাজী হরমুজ আলী মার্কেট, বন্দর চৌরাস্তার বিপুল, গীতাঞ্জলি গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন থান কাপড়ের দোকানে লুকোচুরির মাধ্যমে কেনাবেচা করতে দেখা গেছে। প্রশাসনের দেওয়া নির্দিষ্ট কিছু দোকান ব্যতীত শপিং মল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সরকারের দেওয়া নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই বেশ ক'দিন থেকেই রাণীশংকৈলের শপিংমলগুলো অর্ধেক সার্টার খুলে রেখেই বেচাকেনা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৪ মে রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে বেচাকেনা। ঈদের আগের দিন এমন বেচাকেনায় রানীশংকৈলের সচেতন মানুষ রীতিমত হতবাক। বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে দেখা গেছে, জামাকা পড়ের মধ্যে এবার বিক্রির শীর্ষে রয়েছে মেয়েদের সুতি জাতীয় কাপড়। দেশীয় কাপড়ের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের হরেক নামে বিক্রি হচ্ছে বাহারি পোশাক। এছাড়া জুতার দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। তবে সব দোকানেরই সার্টারের সামান্য মুখ খুলে রেখে বেচাকেনায় চলছে। আর লুকোচুরির মধ্যে ক্রেতাদের টাকাও গুণতে হয়েছে অনেক বেশি।
রমজানের প্রথম দিকে তেমন বেচা-বিক্রি ভালো না হলেও দুয়েকদিন থেকে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। সব বয়সের নানান কালেকশনের কথা জানালেন দোকানিরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, পাশের উপজেলা হরিপুর এবং রানীশংকৈলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা মহিলা ও শিশু ক্রেতাদের ভির ছিল চোখে পড়ার মতোই। অনেকের ধারণা ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা -নারাণয়গঞ্জফেরতদের কেনাকাটার বিষয়টিও হতে পারে আতঙ্কের। যার ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বলে মনে করছেন রানিশংকৈলের স্থানীয়রা।