মানসিকভাবে তৈরি হয়েই দঃ আফ্রিকা যাচ্ছেন ওয়ার্নার
by স্পোর্টস ডেস্কএই দক্ষিণ আফ্রিকাতেই ঘটে গিয়েছিল কেলেঙ্কারি! দুই বছর আগে বল টেম্পারিং করে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ। এরমধ্যে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে, দুই বছর পর আবারও সেই দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে অজিরা। দলে আছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। প্রোটিয়া দর্শকরা তাদের যে সাদরে গ্রহণ করবেন না, তা ভালোই জানা আছে ওয়ার্নারের। ধরেই নিয়েছেন, স্বাগতিক দর্শকদের বৈরী আচরণের শিকার হতে হবে তাদের।
কেপটাউনে ২০১৮ সালের ওই টেম্পারিং কাণ্ডকে বলা হয় স্যান্ডপেপারগেট। শিরিস কাগজ দিয়ে বল ঘষে বিকৃত করেছিলেন অনৈতিক সুবিধা পেতে। সেই সফর ওয়ার্নারের জন্য ছিল দুঃসহ। প্রথম টেস্ট থেকেই ছিল উত্তেজনা। ওয়ার্নারের স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অসম্মানজনক কথা বলেছিলেন কুইন্টন ডি কক। তৃতীয় টেস্টে সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গিয়েই ‘স্যান্ডপেপারগেটের’ জন্ম দিয়েছিলেন অধিনায়ক স্মিথের ডেপুটি ওয়ার্নার। ফল, স্মিথ-ওয়ার্নারের ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা।
ওয়ার্নার-স্মিথের জন্য নিশ্চিত করেই আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অপেক্ষা করছে অস্বস্তিকর পরিবেশ। ওয়ার্নার অবশ্য প্রস্তুত সেটির মুখোমুখি হতে, ‘আমার জন্য এটা তেমন কঠিন কিছু হবে না। আমি যাবো শুধু নিজের কাজটা ঠিকমতো করার লক্ষ্য নিয়ে। রান করবো, অস্ট্রেলিয়ার জন্য ম্যাচ জিততে চাইবো। তবে এটা নিশ্চিত, পরিবেশটা কিন্তু বৈরীভাবাপন্ন হবে।’
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে দারুণ ফর্মে রয়েছেন অজি ওপেনার। গত বছর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারের খেতাব। এই সময়ে এমন প্রতিকূল পরিবেশেরও মুখোমুখি বেশ কয়েকবার হয়েছেন। ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়ে দুয়ো শুনেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডে আমি মানিয়ে নিতে পেরেছিলাম। আসলে আমি তা(দর্শক-বৈরীতা) উপভোগই করেছি এবং সেসব সঙ্গে নিয়েই খেলেছি।’
ওয়ার্নারের প্রত্যাশা, দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ অজিদের প্রাপ্য সম্মানটা দেবে। কারণ যা হয়ে গেছে সেটা এখন অতীত, ‘আশা করি, আমরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবো, কিছুটা সম্মান তাদের কাছ থেকে পাবো। যা ঘটে গেছে সেটা যেন অতীতেই থাকে।’