‘ফিনিসার থাকলে মালেতে জিততে পারতাম’

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/700x0x1/uploads/media/2020/02/14/1dfe41c6a87dba57618b4a58c764be0d-5e46b2b04aee5.jpg
মাজিয়ার মাঠে ড্র করে এএফসি কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে আবাহনী

অনেক আশা নিয়ে মালেতে গেলেও আবাহনীকে শূন্যহাতে দেশে ফিরতে হয়েছে। এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচে স্বাগতিক মাজিয়া স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে জিততেই হতো মারিও লেমোসের দলকে। কিন্তু প্রতিপক্ষের জালে কোনও গোলই দিতে পারেনি জীবন-সানডেরা। গোলশূন্য ড্র দিয়ে শেষ হয়েছিল ম্যাচটি। আর তাতেই কপাল পুরেছে দলটির। প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি গোল করার সুবাদে পরের পর্বে উঠে গেছে মাজিয়া। গতবার এএফসির আঞ্চলিক পর্বের সেমিফাইনালে খেলেছিল। আর এবার কিনা প্রাথমিক পর্ব থেকেই বিদায়!

ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে আজ বিকেলে আবাহনী দেশে ফিরেছে। দেশে ফিরেও দলের কোচ লেমোস গোলের জন্য হা-পিত্যেশ করছেন, ‘মালেতে একটি গোল করতে পারলেই হতো। আমাদের পরের পর্বে খেলার সুযোগ হতো। কিন্তু যোগ্য ফিনিসারের অভাবে আমরা ম্যাচটি জিততে পারিনি।’

নাবীব নেওয়াজ জীবন, সানডে ও বেলফোর্টের মতো খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও মালেতে গোল পায়নি আবাহনী। লেমোসের দুঃখ এই জায়গাতেই, ‘ঢাকায় আমরা পিছিয়ে থেকে ম্যাচ ড্র করলাম। কিন্তু মালেতে সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি কেউ। সানডে-জীবনরা পারেনি। আমাদের আসলে ফিনিসিংয়েই যত সমস্যা। ওরা যদি নিজেদের কাজটি করতে পারতো তাহলে হয়তো ম্যাচ জিতেই দেশে ফিরতাম।’

গতবার লেমোসের অধীনে জোনাল সেমিফাইনাল খেলা আবাহনী তার অধীনে এবার শুরুতেই বাদ! লেমোস অবশ্য এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘গতবার আমাদের দলটি ভালো ছিল। এএফসি কাপে মাসিহ সাইগানির মতো খেলোয়াড় ছিল। যার গোলে নেপালে প্রথম ম্যাচ জিতেছিলাম। অন্যরাও খারাপ খেলেনি। এবার ঢাকায় দুই গোল পেয়েছি। কিন্তু মালেতে তো কেউই গোল করতে পারেনি। ফুটবল গোলের খেলা, কেউ যদি তা করে দেখাতে না পারে জিতবো কি করে।’

ফেডারেশন কাপ হারিয়ে আগামী এএফসি কাপে খেলার প্রথম স্লটটা হারিয়েছে আবাহনী। এখন প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে এএফসি কাপে খেলার সুযোগ থাকবে। লেমোস তাই লিগে ভালো করতে চান, ‘লিগে আমাদের ভালো করতে হবে। লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলবো। তবে তা যে সহজ হবে না, তা বলেই দেওয়া যায়।’