রাজধানীতে দুই শিশুসহ মাকে হত্যা
by নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকারাজধানীর দক্ষিণখানের প্রেমবাগানের একটি বাসায় আজ শুক্রবার বিকেলে মা ও তার দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পাওয়া যায়নি।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল আজ রাতে শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, প্রেমবাগান রোড কেসি স্কুলের পেছনের একটি বাসায় আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মা ও তার দুই সন্তানের মরদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, দুই সন্তানসহ মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হচ্ছে। নিহতরা একজন টিঅ্যান্ডটি কর্মকর্তার স্ত্রী ও সন্তান। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। উত্তরা বিভাগের পুলিশ ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অপরাধ শনাক্তকরণ ঘটনা খতিয়ে দেখছে।
এ ছাড়া আজ সকালে মাতুয়াইলের বেসরকারি একটি হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষ থেকে মোবারক করিম (২৬) নামে এক যুবকের গলায় তোয়ালে প্যাঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর ফ্রেন্ডশিপ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড স্পেশালাইজড নামক হাসপাতালটির পরিচালক জামাল হোসেন পালিয়ে গেছেন। মোবারক নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট ছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, ফ্রেন্ডশিপ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক জামাল ডেকে মোবারক করিমকে তার কক্ষে নিয়ে হত্যা করে লাশ তোয়ালে পেঁচিয়ে গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
পুলিশ বলেছে, মোবারকের পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আলামত দেখে মনে হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড।
ডেমরা থানার পুলিশ জানায়, আজ সকালে ফ্রেন্ডশিপ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে ওই হাসপাতালে যায়। পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক (বিপণন) জামাল হোসেনের দপ্তরের কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় তোয়ালে প্যাঁচানো লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
মোবারক নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় বেসরকারি প্রোঅ্যাকটিভ হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট ছিলেন। আট মাসে আগে তিনি বিয়ে করেন। স্ত্রী সাবেকুন নাহারকে নিয়ে দনিয়ায় থাকতেন। তার বাড়ি ভোলার লালমোহনের ধুলি গৌরীনগরে।
পুলিশের ডেমরা অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. রাকিবুল হাসান আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলাকে বলেন, জামালকে ধরতে পারলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাকে গ্রেপ্তারের পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে।