অসুস্থ মাকে নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না কুবি ছাত্রের
by নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লাঅসুস্থ মাকে নিয়ে ঢাকার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. সুজন আহমেদ (২০)। কিন্তু মাকে নিয়ে বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। দ্রুতগামী বাসের চাপায় সড়কেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। এ ঘটনায় সুজনের মা-ভাবিসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। নিহত সুজন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার রুপুদ্দি গ্রামে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুজনের মা জাহেদা বেগম (৬৫)। শুক্রবার দুপুরে ভাবি রুবি আক্তারকে (৩৫) সঙ্গে নিয়ে মহাসড়কের কাবিলা এলাকা থেকে মাকে আনতে যান সুজন। বাস থেকে নামার পর অসুস্থ মাকে নিয়ে অটোরিকশায় করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় ঢাকাগামী এনা পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এ সময় বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সুজন। দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। আহতদের কুমিল্লার ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শুভব্রত সাহা বলেন, সুজন বিভাগের চতুর্থ বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। একজন নিহতের খবর পেয়েছি। তবে পুলিশ পৌঁছার আগেই নিহতের মরদেহ নিয়ে যায় স্থানীয়রা। বাসটিকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছেন।’