নাটোর জেলা সমিতির পিঠা উৎসব
by উত্তর আমেরিকা অফিসনিউইয়র্কে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন নাটোর জেলা সমিতি ইউএসএর পিঠা উৎসব।
৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে উৎসবমুখর পরিবেশে এই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও ছিল। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এ পিঠা উৎসব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুল লতিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এন মজুমদার, বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্ক-এর সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
নাটোর জেলা সমিতি ইউএসএর আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাবেক প্রচার সম্পাদক হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন, মেজর (অব.) ফরিদ আহমেদ, বৃহত্তর রাজশাহী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান বাবু ও মো. আক্কাস আলী, উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, প্রধান সমন্বয়কারী মো. সেলিমুজ্জামান, সদস্যসচিব মো. আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইমতিয়াজ বিজয়, যুগ্ম সদস্যসচিব মো. মুক্তার আলী, সমন্বয়কারী মো. জুয়েল, বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সাংবাদিক মনোয়ারুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সংগঠক আলমগীর খান, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট কফিল চোধুরী, এ ইসলাম মামুন, শাহিন আলম, মোহাম্মদ এম হামিদ, মাহফুজা পারভীন, মিজানুর রহমান, আসাদুজ্জামান, সোহেল রানা, মাসুদ রানা, ফিরোজা ইয়াসমিন, ওবায়দুল ইসলাম, আবদুল্লাহ মামুন, শাহানাজ পারভিন, মোহাম্মদ ইদ্রিস, শাহানুর রহমান, কামাল হোসেন, শাহিন আলম, প্রদীপ, ইমতিয়াজ আহম্মেদ, মীম, সাইফুল ইসলাম, মো. সুমন, দেলোয়ার হোসেন, বন্দনা রানী, মো. ওবিন, মোশাররফ হোসেন হাওলাদার, লিয়াকত খান, রামদাস গোস্বামী, রফিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, মুজিব উদ্দিন, রাজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন নিহাল মাসনুন। পরে বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
পিঠা উৎসবে শোভা পাচ্ছিল পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, তেলপিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, পাকোন পিঠা, মাংসের পিঠা, নারিকেল পুলি, নিমকি, সাবুদানার পিঠা, ডালপুরিসহ নানা রকম পিঠার বিপুল সমাহার।
আয়োজকদের বাসায় তৈরি বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা আকৃতি, স্বাদ আর রঙের এসব পিঠা অতিথিদের বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে সংগঠনের কর্মকর্তারা অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরে সবাইকে পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন হাসিনা হোসেন, গাজ্জালা হোসেন, সাজেদা খাতুন, দিলরুবা নূর, জলি হোসেন, মিসেস আলম, নার্গিস পারভিন, সালমা জাহান, মাহফুজা পারভীন, লাভলী পারভীন, আফরোজা সুলতানা, সাদিয়া কেয়া, আলেয়া ফেরদৌস, সুরাইয়া সুমা, তানভি রহমান, শারমিন আফরো এবং কানিজ ফাতেমা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পিঠা উৎসব বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতির অংশ। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম জানবে বাঙালি সংস্কৃতিকে। এ ধরনের উৎসব আমাদের মন-প্রাণ বাঙালিয়ানার আমেজে ভরে দেয়। সুযোগ করে দেয় প্রবাস প্রজন্মকে বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচারের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মূলধারার সঙ্গে মিশে গেলেও বাঙালি সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে এ ধরনের উৎসব খুব প্রয়োজন।
সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী মনিকা দাস, হেলাল উদ্দিন, মিনি ও ওয়াসী। নৃত্যে ছিলেন কানিজ ফাতেমা ও মালিয়া সোবহা।