https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/1600x0x0/uploads/media/2020/02/14/c7412124e9cb03fe577126d656e1ac4b-5e468a4bdc407.jpg
চলতি পথে

অন্য রকম ভালোবাসা

by

পশুপ্রেমিক হিসেবে আমার সুনাম বা দুর্নাম কোনোটাই নেই। বাঘ-ভালুক থাকে জঙ্গলে। জনপদে থাকে সাপ-কুকুর। তবে এ দুটিকে আপন ভাবার কোনো কারণ ছিল না। সাপ দেখলে সবাই মিলে না মারা পর্যন্ত স্বস্তি পেতাম না। কুকুর সর্বদা এড়িয়ে চলতাম। যে বাড়িতে পোষা কুকুর থাকত, সে বাড়ির ধারে-কাছে ঘেঁষতাম না।
কুকুর সম্পর্কে আমার সব ধারণা পাল্টে দিয়েছে ‘ডিটাচ’ নামের একটি কুকুর। সে কাহিনিই আজ বলব।
সাপ মারা ছাড়া পশু-পাখির প্রতি নির্দয় ব্যবহারের কোনো কথা মনে পড়ে না। তবে দু/তিনবার ‘চোর’ বিড়ালের প্রতি খানিকটা ইয়ে করতে হয়েছে। মোগলাবাজারে গ্রামের বাড়িতে বিড়াল থাকত সর্বদা। এগুলো খুব উপকারেও আসত। বাড়ি ছিল পুরো ইঁদুরমুক্ত। তবে মাঝে-মাঝে কোন কোন বিড়াল বেশি লোভী হয়ে পড়ত। রান্না ঘরের শিকেয় তুলেও সদ্য রান্না করা তরকারি রক্ষা করা যেত না। এ বিড়ালগুলো এতই দক্ষ ছিল যে, ছাদ বেয়ে শিকেয় পৌঁছে যেত। একবার খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম, বিকেলে হাট থেকে প্রিয় কিছু মাছ কিনে আনি। মা এই মাছের মজাদার ঝোল করে শিকেয় তুলে রাখেন। রাতে খাবার সময় দেখা যায় এক টুকরো মাছও অবশিষ্ট নেই। ‘চোর’ বিড়ালকে শিকে থেকে লাফ দিয়ে পালাতে দেখলাম। তখনই সিদ্ধান্ত নিই, এটাকে আর ঘরে রাখা যাবে না। পরদিন একটা বস্তায় পুরে গ্রামের অপর মাথায় নিয়ে ফেলে আসলাম। দুই/তিন ঘণ্টা পর দেখি আবার ঘরে ফিরে এসেছে। এবার আর গ্রামের অপর মাথায় নয়, ফেঞ্চুগঞ্জমুখী রেললাইন ধরে প্রায় দেড় মাইল দূরে গিয়ে ফেলে আসি। আর ফেরেনি। জানি না, হয়তো বুঝতে পেরেছে—এ বাড়ি আর তার নয়।
কুকুরকে যে পছন্দ করি না, আমাকে দেখলে কুকুর কীভাবে টের পায়, তা আজও আমার কাছে এক বিস্ময়। একবার নিউইয়র্কে এক বাড়ির লোহার বেষ্টনীর মধ্যে কালো বিরাটকায় দুটি কুকুর রাস্তায় তাকিয়ে মানুষের চলাচল দেখছিল। এ রাস্তা দিয়ে আমিও যাচ্ছিলাম। কারও বেলায় যা ঘটেনি, আমার বেলায় তাই ঘটল। একটি কুকুরের সঙ্গে আমার চোখাচোখি হতেই দেখি মুহূর্তেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করল। রক্তবর্ণ লাল চোখ, গলায় অনুচ্চারিত গর্জন, ছটফট করছে, লোহার বেষ্টনী না হলে এখনই ছিঁড়ে-ছুড়ে আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিত। আমি স্থানটি দ্রুত অতিক্রম করলাম।
আরেকবার পড়েছিলাম এক মহাবিপদে। এস্টোরিয়ায় ছিল আমার ঘনিষ্ঠজন ফরিজ উদ্দিনের মোটর গাড়ির ওয়ার্কশপ। তিনি প্রবীণ প্রবাসী। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে জর্জ হ্যারিসন ও রবি শংকরের কনসার্টের টিকিট হেঁটে হেঁটে বিক্রি করেছেন।
ফরিজ উদ্দিনের সুরমা অটো ওয়ার্কশপে ছিল দুটি বিশালাকৃতির জার্মান শেফার্ড। দিনের বেলা এ দুটিকে তিনি শিকলবন্দী করে রাখতেন। সন্ধ্যায় শিকল মুক্ত করে দিতেন। গ্যারেজের নৈশ নিরাপত্তা এই দুই শেফার্ডের হাতেই থাকত। ফরিজ উদ্দিন এই দুটিকে আদর করে ডাকতেন ইন্দিরা ও ভুট্টো বলে।
সেদিন আমরা দুজন ছাড়া গ্যারেজে আর কেউ ছিল না। সন্ধ্যায় যখন আমরা বের হব, নিত্যদিনকার মতো ফরিজ উদ্দিন খুঁজে দেখলেন গ্যারেজের ভেতরে কেউ আছেন কিনা। সাধারণত সবাই গেটের বাইরে যাওয়ার পর তিনি শিকলমুক্ত করতেন। অন্যথায় মহাবিপদ হতো।
আমি ধীর পায়ে গেটের দিকে এগোচ্ছি, বের হব বলে। হঠাৎ দেখি পেছন থেকে কে আমায় জড়িয়ে ধরেছে, নিঃশব্দে। ঘটনার ভয়াবহতা অনুভব করলাম। আমার সারা শরীর পাথর ও হিম ঠান্ডা হয়ে গেল। আল্লাহর কাছ শুকরিয়া, ফরিজ ভাইয়ের চোখ পড়ল মুহূর্তের মধ্যে। তিনি শুধু বললেন, মোটেই নড়বেন না। তারপর দ্রুত এসে আমাকে বিপদমুক্ত করলেন। গেটের বাইরে এসে দীর্ঘ শ্বাস নিলাম। ফরিজ ভাই দুঃখ প্রকাশ করে বললেন, আমি ভেবেছিলাম, আপনি গেটের বাইরে চলে গেছেন।
সে দিনের এ ঘটনা মনে হলে আজও রক্ত হিম হয়ে যায়।
আমার ভাগনে ডা. লুৎফুর রহমানের কথা মনে পড়ে। ষাটের দশকে মোগলাবাজারে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার ছিলেন। কানাইঘাট বাড়ি। তাঁর মেয়ে জুলি ও জামাই লেখক ইঞ্জিনিয়ার বশির আহমদ বর্তমানে আটলান্টায় বসবাস করছেন।
লুৎফুর রহমান খুব জনপ্রিয় ডাক্তার ছিলেন। যশও ছিল। আমাকে বলতেন, ‘মামা, আমি রোগী না দেখে বলে দিতে পারব কী রোগ তার। এই ঘরে আমি, পাশের ঘরে থাকবে রোগী, সুতার এক প্রান্ত ধরবে রোগী, অপর প্রান্ত আমি। এতেই আমি বলে দেব কী অসুখ।’
লুৎফুর রহমান ছিলেন প্রাণী বা পশুপ্রেমিক। হাসপাতাল কম্পাউন্ডেই ছিল তাঁর বাসভবন। বাসায় দুগ্ধবতী গাভিসহ হাঁস, মোরগ, তিতরে ছিল ভরপুর। তাঁর ছিল নিজস্ব তেজি ঘোড়া। গ্রাম-গ্রামান্তরে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রোগী দেখতেন। যেখানে রাস্তা আছে, সেখানে সাইকেল চালিয়ে যেতেন। সাইকেল চালানোর অনুপযোগী গন্তব্যে যেতে ব্যবহার করতেন ঘোড়া। আমাদের বাড়িতে যখন ঘোড়ায় আসতেন, সুযোগ পেয়ে আমি ঘোড়ায় চেপে বসতাম। আর বাড়ি প্রদক্ষিণ করতাম। মামা সে দৃশ্য উপভোগ করতেন। আমার জীবনে ঘোড়ায় চড়ার এটাই একমাত্র অভিজ্ঞতা।
ডা. লুৎফুর রহমানের ছিল বিরাটকায় এক সরাইল কুকুর। তাঁর বাসভবনের অতন্দ্র প্রহরী। একবার কী মনে করে এই সরাইল কুকুরকে তাঁর শ্বশুর বাড়ি গোলডোবায় রেখে এলেন। মোগলাবাজার থেকে গোলডোবা অনেক দূর। ৪০ মাইল তো হবেই। সে সময়ের যাতায়াতও একটু জটিল। মোগলাবাজার থেকে ট্রেনে সিলেট, সিলেট থেকে বাসে শেরপুর, শেরপুর থেকে আউশকান্দি, সেখান থেকে নবীগঞ্জের গোলডোবা।
অবাক কাণ্ড হলো, গোলডোবায় রেখে আসার তিন/চার দিনের মাথায় কুকুরটি একাই মোগলাবাজারে ফিরে আসে। কী করে তা সম্ভব হলো, আজও আমার কাছে এক বিস্ময়। কুকুরের ঘ্রাণশক্তি এত প্রখর!
‘ডিটাচ’ প্রসঙ্গে ফিরে আসি।
‘ডিটাচ’ জার্মান রটউয়েলার জাতের এক কুকুর। এরা দুরন্ত সাহসী। ‘ডিটাচ’ নামটি সম্ভবত আমার মেয়ে বা জামাইয়ের দেওয়া। বাচ্চা অবস্থায় ডিটাচকে এনেছিল আমার মেয়ে। এখন কৈশোর উত্তীর্ণ, টগবগে তারুণ্য। গায়ে-গতরেও বেশ বড়। মেয়ের ভাড়া বাসায় অসুবিধার কারণে ডিটাচ আমার বাসায় কয়েক মাসের অতিথি হয়ে এসেছিল।
সে সময় ইস্ট এলমহার্স্টে আমার নিজের ডুপ্লেক্স বাড়ি ছিল। মেয়ে জানত, আমি কুকুর পছন্দ করি না। তাই হয়তো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিল। তার মায়ের আশ্বাসে ভরসা পেয়ে রেখে যায় বাড়িতে। একদিন বাইরে থেকে এসে দরজা খুলতেই দেখি আমাকে স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে আছে একজন। না, কোলাকুলি করেনি। লেজ নাড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাল। ভেতরে ঢুকে দেখি হাসি ও আমার ছেলের সঙ্গে ইতিমধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। কোলাকুলিসহ মাস্তিতে প্রাণবন্ত ডিটাচ। মেয়ে আমার বলে দিয়েছে, নাকি নিজে থেকেই ডিটাচ আমাকে পাঠ করে নিয়েছে, জানি না। সব সময় যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে চলতো। ‘না বন্ধু, না শত্রু’ এই নীতি।
বাইরে থেকে হাসি বা ছেলে ঘরে এলে তাদের জড়িয়ে সোহাগ জানাতো, আমার বেলা শুধু লেজ নাড়ানো। ওপরে যে রুমে আমি থাকি, সে রুমে কখনো ঢুকত না। প্রথম একবার ঢুকতে চেয়েছিল, হাত ইশারায় নিষেধ করায় আর কখনো সে চেষ্টা করেনি। তবে অন্যদের রুমে ছিল তার অবাধ যাতায়াত। আমার ছেলে তাকে নিয়ে পার্কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরতো।
রাতে নিচের বসার ঘরে টিভি দেখে দেখে এক সময় ঘুমানোর জন্য সুইচ অফ করে হাসি ‘গুড নাইট ডিটাচ’ বলে ওপরে তার রুমে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন, ডিটাচ তার আগেই সিঁড়ি মাড়িয়ে ওপরে ওঠা শুরু করল। দুই/তিন সিঁড়ি উঠে পেছন ফিরে দেখে নিল, হাসি উঠছে কিনা। না হলে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। হাসি তখন ধমকের সুরে বলে, ‘তুমি উঠছে কেন, স্টে হেয়ার’। কে কার কথা শুনে, ওপরে উঠে হাসির দরজার সামনে অবস্থান নেয়। একই দৃশ্য প্রতি রাতে দেখতে হয়।
আরেকটি বিষয় অবাক করে। ছেলে কাজ করে রাতে। ফিরতে কখনো রাত দুইটা, কখনো তিনটে/চারটে বাজে। ছেলে ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আমি টেনশনে থাকি। হঠাৎ এক রাতে খেয়াল করলাম, হাসির রুমের দরজায় শোয়া ডিটাচ উঠে দাঁড়াল। তারপর ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে থাকলে। দুই/তিন মিনিট, কোনো সাড়া-শব্দ নেই। এরপরই বাসার মূল দরজা খোলার শব্দ এবং একই সঙ্গে ছেলের কণ্ঠ-হাই ডিটাচ।
ভেবে পেলাম না, ডিটাচ কী করে আগাম জানতে পারল ছেলের আগমন। আমরা তো কিছুই টের পাইনি। এরপর প্রতিরাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ওপরে শোয়া ডিটাচ গা ঝাড়া দিয়ে উঠে নিচে নামতে থাকলেই বুঝে ফেলতাম, ছেলে আসছে।
এমন আশ্চর্য ক্ষমতায় একদিকে বিস্মিত, অন্যদিকে মুগ্ধ হলাম।
মুগ্ধ হলাম আরও কিছু ঘটনায়।
একদিন বেসমেন্টে এক্সারসাইজ ট্রেডল মেশিনে দৌড়াচ্ছিলেন হাসি। হঠাৎ ঘটে এক দুর্ঘটনা। চেইন ছিঁড়ে মেশিনের ভারী এক অংশ তার শরীরের ওপর পড়ে। কোনো মতেই মেশিনের টুকরো সরাতে পারছিলেন না। চাপা পড়ে চিৎকার করছিলেন। কিন্তু ওপর থেকে সে চিৎকার শোনা যাচ্ছিল না। ডিটাচ সাধারণত বেসমেন্টে যেতে চাইতো না। তার আশঙ্কা, যদি বেসমেন্টে তাকে স্থায়ীভাবে রেখে দিই। সে পরিবারের সদস্য হিসেবে সবার সঙ্গে ওপরে থাকতে চায়।
হাসির চিৎকার প্রথম শুনল ডিটাচই। তারপর এক লাফে বেসমেন্ট, হাসির অবস্থা দেখে আবার এক লাফে ওপরে। সঙ্গে একটানা চিৎকার। দৌড়ে একবার নিচে, আবার ওপরে। তার এই অস্বাভাবিক আচরণে আমার ছেলে-মেয়ে দৌড়ে বেসমেন্টে গিয়ে হাসিকে উদ্ধার করে। মুগ্ধতায় হাসি ডিটাচকে জড়িয়ে ধরে কৃতজ্ঞতা জানালেন।
এখনো স্মৃতিচারণ করে হাসি বলেন, সেদিন ডিটাচ না থাকলে আমার কী যে হতো!
আরেক দিন, ওপরে আমার রুমে শুয়ে টিভি দেখছিলাম। এ সময় ডিটাচ চিৎকার করতে করতে নিচ থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে এল। আমার রুমের দরজায় শুধু মুখটা ঢুকিয়ে ভোঁ ভোঁ করে আওয়াজ তুলে আবার লাফিয়ে লাফিয়ে নিচে গেল। আবার ওপরে, তারপর নিচে। এরূপ দুই/তিনবার করার পর শঙ্কিত হলাম, নিশ্চয়ই নিচে কিছু একটা ঘটেছে। দৌড়ে নিচে নেমে এলাম।
বসার রুমের দেয়ালের সঙ্গে লাগানো বড় স্ক্রিনে টিভি। টিভি বা দেয়ালের ওপাশে প্রতিবেশীর ঘরে ড্রিল মেশিনের শব্দ। খুব বাজে আওয়াজ। হয়তো এই দেয়ালেই কোনো কিছু ছিদ্র করছিল। মনে হচ্ছিল, আমাদের ঘরেই হামলা। হামলার শব্দ হচ্ছে, কিন্তু শত্রু দৃশ্যমান নয়। অশান্ত ডিটাচ। চিৎকার করে করে তেড়ে যাচ্ছে টিভি বা দেয়ালের দিকে। অস্থির সে। কে তাকে থামাবে। সে থামল, যখন ড্রিল মেশিনের আওয়াজ থামল।
ডিটাচকে নিয়ে এভাবে ছোট–বড় অনেক অনেক ঘটনা। আমার স্ত্রী হাসির খুব ইচ্ছে ছিল, ডিটাচকে স্থায়ীভাবে বাড়িতে রেখে দিতে। কিন্তু সে ইচ্ছা চেপে রাখতে হয়েছে বাস্তব নানা কারণে।
আমার মেয়ে ও জামাই কানেকটিকাটের এক পরিবারকে পেল, যারা ডিটাচের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। যে দিন ডিটাচকে নিয়ে যাবে তার আগে অদৃশ্য এক কারণে আমার মনটা ভারী হয়ে উঠল। এ কয়দিনে আমার অজান্তেই ডিটাচের প্রতি এক ধরনের অনুরাগ তৈরি হয়ে গেছে। আমি কোনো দিন তাকে স্পর্শ করিনি। আজ মনে হলো, একটু হাত বুলিয়ে দিই। ডিটাচের শরীরে যখন হাত রাখি, খুশিতে গদ গদ হয়ে আমার দিকে বারবার তাকাচ্ছিল। গাড়িতে ওঠার পর চোখাচোখি হতেই আমি চোখ ফিরিয়ে নিই। আমি চাইনি, অশ্রুসজল একটি চোখ দেখি।

লেখক: নিউইয়র্কপ্রবাসী প্রবীণ সাংবাদিক।