ইয়োকাহামায় প্রমোদতরীতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২১৮

http://www.dailyjanakantha.com/files/202002/1581682216_03.jpg

অনলাইন ডেস্ক ॥ জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরের কাছে পৃথক করে রাখা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের আরও ৪৪ জনের শরীরে নভেল করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২৯ জনই জাপানি নাগরিক।

সংক্রমণ ঠেকাতে কয়েক সপ্তাহ ধরে পৃথক করে রাখা প্রমোদতরীটির যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে মোট ২১৮ জনের দেহে কভিড-১৯ রোগ ধরা পড়ল বলে জাপান টাইমস জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার নতুন যে ক’জন আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে ৪৩ যাত্রী এবং একজন ক্রু, বলেছেন জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

প্রমোদতরীটিসহ জাপানে এ কভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৭ এ পৌঁছাল। বৃহস্পতিবার দেশটি করোনা ভাইরাসে এক নারীর মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে চীনের বাইরে তৃতীয় কারও মৃত্যুর খবর মিলল।

কভিড-১৯ এ মারা যাওয়া অশীতিপর ওই জাপানি নারী থাকতেন টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমের কানাগাওয়া এলাকায়। মৃত্যুর পর তার নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হন কর্মকর্তারা।

ডায়মন্ড প্রিন্সেসের আক্রান্ত ৫ যাত্রীকে আগেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তাদের সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কাতসুনোবু কেটো জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার যে ৪৪ জনের আক্রান্তের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ৪০ জনেরই বয়স ৭০ কিংবা এর উপরে।

জাপানি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, প্রমোদতরীটির যাত্রীদের ৮০ শতাংশই ষাটোর্ধ্ব। ২১৫ জনের বয়স ৮০-র ঘরে; ১১ জন পেরিয়েছেন ৯০।

গত মাসে জাহাজে থাকা হংকংয়ের ৮০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর আরোহীদের পরীক্ষা করা শুরু হয়।

কেটো জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন কিন্তু আগে থেকে অসুস্থ ৮০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তি, কিংবা যারা ডায়মন্ড প্রিন্সেসের জানালাবিহীন ঘরে আছেন তাদেরকে শুক্রবার সকালের মধ্যেই জাহাজটি থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে।

“যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও প্রস্তুতি চলছে,” বলেছেন তিনি।

সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি যাত্রীর ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ‘কোয়ারেন্টিন’ অবস্থা বুধবার শেষ হওয়ার কথা। তার আগে আক্রান্ত নন এমন বৃদ্ধদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়টিকে ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

প্রমোদতরীটির আরও ২০০ ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, জানিয়েছে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।