মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা সোবহানের মৃত্যু
by বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্টমানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা আব্দুস সোবহান (৮০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাচ্চু মিয়া জানান, কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আব্দুস সোবহান অসুস্থ হলে গত ২৪ জানুয়ারি তাকে চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত নেতা মাওলনা আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে রাজাকার, আল বদর ও আল-শামস বাহিনী পাবনায় হত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটায়। এসব অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আসামি আব্দুস সোবহানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। আব্দুস সোবাহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৩৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পাবনার সুজানগর থানার মানিকহাটি ইউনিয়নের তৈলকুন্ডি গ্রামে জন্ম নেওয়া মাওলনা আব্দুস সোবাহানের পুরো নাম আবুল বাশার মোহাম্মদ আব্দুস সোবাহান মিয়া। তার বাবার নাম শেখ নাঈমুদ্দিন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত শান্তি কমিটির পাবনা জেলার সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি সেনারা হত্যা, লুট, অপহরণ, নির্যাতনের মতো অপরাধ করে। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি পাকিস্তানে পালিয়ে যান। এরপর দেশে ফিরে তিনি সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন।