উহানে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা জানা নেই ॥ চীন
- করোনাভাইরাস
অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎস হুবেই প্রদেশের উহান শহরে এখন পর্যন্ত কতজন এতে আক্রান্ত হয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা জানা নেই বলে স্বীকার করেছে চীন। আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা। ভাইরাস আক্রান্তদের খুঁজে বের করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে কর্তৃপক্ষ।
চীনে করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার উহানে একদিনে আক্রান্তের হার বেড়েছে ১২ গুণ এবং মৃত্যুর হার বেড়েছে অন্তত তিনগুণ। এদিন চীনজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৫৪ জন মারা গেছেন, এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেরই ২৪২ জন। এখন পর্যন্ত একদিনে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টিম গঠন করেছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। বৃহস্পতিবার টিমের অন্যতম সদস্য চেন ইজিন জানিয়েছেন, ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি এখনও ‘অনিশ্চিত’, এতে কতজন আক্রান্ত হয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা তাদের জানা নেই।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্রীড়া কমপ্লেক্স, প্রদর্শনী হল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গাগুলোতে আরও সেবাকেন্দ্র খোলার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া করোনাভাইরাসবিরোধী যুদ্ধরত ‘সেনাদের’ (চিকিৎসাকর্মী বুঝিয়েছেন) পুরস্কৃত করারও আহ্বান জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
যুক্তরাজ্যের ল্যাঙ্কাস্টার ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট ডেরেক গ্যাথারার জানিয়েছেন, চীনের সরকারি হিসাবে করোনাভাইরাস আক্রান্তের যে সংখ্যা দেখানো হচ্ছে, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা এর চেয়ে ১০ থেকে ২৫ গুণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সোমবার উহান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষার সময় ১ হাজার ৪৯৯ জন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে গুরুতর অবস্থায় খুঁজে পেয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে কমিউনিস্ট পার্টির হুবেই শাখার প্রধানকে অপসারণ করেছে দলটি। এছাড়া প্রায় একই অভিযোগে শাস্তির মুখে পড়েছেন শতাধিক কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার চীনের হুবেই প্রদেশে মৃত্যুর মিছিলে আরও যোগ হয়েছেন ১১৬ জন। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৮৩ জন।
শুক্রবার হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রদেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৮২৩ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ হাজার ৯৮৬ জনে। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে এখন পর্যন্ত হংকং, ফিলিপাইন ও জাপানে তিনজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল