যশোর-খুলনা যেন খেলোয়াড়ের খনি
by খেলার সময় ডেস্কব্যক্তি উদ্যোগে বহু একাডেমি গড়ে ওঠা আর নিয়মিত বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো থেকে উঠে আসছে প্রতিভাবান ক্রিকেটার। এমনটাই মনে করেন দিনাজপুর বিকেএসপির ক্রিকেট কোচ সোহেল আনোয়ার।
উন্নত মাঠ আর সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বাড়লে ভবিষ্যতে আকবর-তৌহিদ-শরিফুলদের মতো সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার পাবে দেশের ক্রিকেট, প্রত্যাশা ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের।
গ্রেটার যশোর থেকে খুলনা, জাতীয় দলে দক্ষিণের ক্রিকেটারদের রাজত্ব দেখেছে সবাই। তবে পাল্টেছে দেশের ক্রিকেট হাওয়া। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের স্কোয়াডের বেশিরভাগের নাড়ি পোঁতা উত্তরের মাটিতে। ক্ষেপা উদযাপনের শরিফুল থেকে ধাতব শীতল অধিনায়ক আকবর; সবাইতো উত্তরের উত্তরসূরী।
নাইম-নাসিররা আশা দেখিয়েও ক্যারিয়ারে অনন্য উচ্চতায় যেতে ব্যর্থ। আগের প্রজন্মে পাইলটকে স্মরণে রেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে উত্তরের আইকন কেবল মি. ডিপেন্ডেবল। তাই মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, হঠাৎ করে এক ঝাঁক চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার আসার পেছনের কারণটা কী?
সোহেল আনোয়ার বলেন, থানা বা জেলায় এরা প্রচুর খেলে। এখানে ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই খেলা শিখছে।
কেবল দিনাজপুর নয়, রংপুরের রহস্যটাও একাডেমি সম্পৃক্ত। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে দূরত্ব কম হওয়ায় বাইরে থেকেও ক্রিকেট শিখতে আসে কিশোররা। অভিভাবকরাও পালন করছেন ইতিবাচক ভূমিকা।
তারা বলেন, যারা খেলতে চায় তাদের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। মাঠে খেলা থাকলে খেলোয়াড় পেতেও সুবিধা হয়।
মাঠে বিভিন্ন বয়সের ক্রিকেটার বেড়েছে। তবে উন্নত মাঠ না থাকায় খেলোয়াড়দের স্কিল ডেভেলপমেন্ট হবে না আশানুরূপ।
দক্ষিণের বাতাস লেগেছে উত্তরের পালে। এ বাতাস ছড়িয়ে যাক গোটা দেশ, তবেই ক্রিকেট আকাশে সগর্বে উড়বে লাল-সবুজের পতাকা।