‘আসামে মাদ্রাসা বন্ধের কোনও পরিকল্পনা আপাতত নেই’

by

আসামে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত মাদ্রাসা ও সংস্কৃত স্কুল বন্ধের আপাতত কোনও পরিকল্পনা নেই এবং এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুক্রবার রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন। আসামের শিক্ষামন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা সরকারের ঘোষণার পর এই তথ্য জানালেন তারা।

https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/600x0x1/uploads/media/2020/02/14/1c76c66ce8a3a60ad89195541a503a55-5e466c0251a6b.jpg

রাজ্য সরকারের এলিমেন্টারি অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন কমিশনার অ্যান্ড সেক্রেটারি প্রিতম সৈকিয়া বলেন, আপাতত কাগজে-কলমে এমন কোনও প্রস্তাব নেই।

রাজ্যটির মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন বলেন, সংবাদমাধ্যমে আমি শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দেখেছি। কিন্তু আমাদের কাছে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।

চেয়ারম্যান জানান, রাজ্যে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ৭০৬টি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদ্রাসায় ধর্মতত্ত্ব ও আরবির পাশাপাশি সরকার পরিচালিত স্কুলগুলোর অন্যান্য বিষয়ও পড়ানো হয়।

মাদ্রাসার পাশাপাশি রাজ্যটিতে শতাধিক সংস্কৃতি টোল বা স্কুল রয়েছে। যেগুলো সংস্কৃত ভাষা আবশ্যক হিসেবে পাঠদান করা হয়।

রাজ্য সরকারের তৃতীয় আরেক কর্মকর্তা শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাবকে ‘গুজব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আউটলুক ইন্ডিয়া’র খবরে বলা হয়েছে, আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়ালের মিডিয়া রিলিজেও এমন কোনও পরিকল্পনার কথা উল্লেখ নেই। বুধবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে এটি সাংবাদিকদের পাঠিয়েছেন তিনি।

এর আগে বুধবার আসামের শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দেন যে, সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত মাদ্রাসা ও সংস্কৃত স্কুলগুলো সাধারণ উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হবে। তিনি বলেন, আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ আরবি বা অন্য কোনও ভাষা কিংবা ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের নয়।

হিমান্ত বিশ্বাস জানান, এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন, কেউ যদি নিজের অর্থে ধর্মীয় শিক্ষা দিতে চায় তাতে কোনও সমস্যা নাই। কিন্তু সরকারের অর্থ ধর্মীয় শিক্ষায় ব্যয় হতে পারে না। স্কুলে ভগবত গিতা বা বাইবেল পড়ানো যায় না।

ধর্মীয় শিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষকদের অবসরের আগ পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।