করোনা: আর্থিক ক্ষতির মুখে কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা

by

চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উৎপাদিত কাঁকড়া রফতানি বন্ধ রয়েছে। এতে হাজার হাজার চাষি দিশেহারা। রফতানি নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে চাষিরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, নতুন বাজার সৃষ্টিসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

দক্ষিণাঞ্চলের বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় এক দশক ধরে কয়েক হাজার চাষি বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষ করছেন। লোনা পানিতে শিলা জাতের কাঁকড়া চাষ লাভজনক হওয়ায় দিনদিন কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন এসব জেলার চাষিরা।

বাগেরহাটের সাত উপজেলায় ১৫০০ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৭৭৮টি কাঁকড়ার খামার রয়েছে। তবে চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গত ২২ জানুয়ারি থেকে স্থানীয় ডিপো মালিকরা কাঁকড়া কেনা বন্ধ রেখেছেন।

বড় হয়ে যাওয়া পূর্ণ বয়সের এ কাঁকড়া বেশিদিন খামারে রাখা যায় না। ভরা মৌসুমে বিক্রি করতে না পারায় খামারে প্রতিদিনই কাঁকড়া মারা যাচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা।

কাঁকড়া চাষিরা বলেন, দুইশ টাকা করেও বিক্রি করতে পারছি না। অনেক কাঁকড়া মরে গেছে। চীনে কাঁকড়া যাচ্ছেনা। সব দিক দিয়েই আমাদের বিপদ।


রফতানি বন্ধ থাকায় বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে কাঁকড়া মজুদ রয়েছে। রফতানি নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে চাষিরা দারুণভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কাঁকড়া সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, চীনে বেশি কাঁকড়া যায়। করোনার কারণে সব বন্ধ হয়ে গেছে। 

তবে বাগেরহাটের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নতুন বাজার সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।

বাগেরহাটে চলতি অর্থ বছরে ২ হাজার ৬২৯ মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদন হয়েছে।