ফের পতনমুখী শেয়ারবাজার

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2019/10/18/40ee2a4a10d744967200277729ecab9c-5da9dc959fc4d.jpg
শেয়ারবাজার

সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের পদক্ষেপের পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ঘুরে দাঁড়ালেও এ সপ্তাহে তার প্রভাব লক্ষ করা যায়নি। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে চার হাজার ৪৬৯ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে সব মিলিয়ে ডিএসইএক্স ৪৪ পয়েন্ট কমেছে। যা আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ৩৬৪ পয়েন্ট।
প্রসঙ্গত, শেয়ারবাজার চাঙা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা নির্দেশনার পর ১৯ জানুয়ারি সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্থান হয় ডিএসইএক্স সূচকের। বাড়ে লেনদেনও। তার ধারাবাহিকতায় ১৯ থেকে ২৩ জানুয়ারি বাজারে তেজিভাব লক্ষ করা গেলেও ২৬ থেকে ৩০ জানুয়ারি সেই চাঙাভাব আর থাকেনি।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাজার ঠিক হতে সময় লাগবে। তবে তারল্য সংকট দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ বছর মেয়াদি যে ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে আগামী দিনে বাজার পরিস্থিতি ভালো হবে। এখন দরকার কোম্পানি বাই-ব্যাক আইন। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারে কোম্পানি বাই-ব্যাক আইন আছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, কোম্পানি বাই-ব্যাক আইন থাকলে শেয়ারের মূল্য কমে গেলে কোম্পানি নিজেই শেয়ার কেনে নেবে। তিনি মনে করেন, স্কয়ারের চার পরিচালকের মতো শেয়ার কিনে নেওয়ার নজির অন্য কোম্পানিগুলোর পরিচালকদেরও দেখানো দরকার। যেসব ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য কমে গেছে, সেই সব ব্যাংক দায়িত্ব নিয়ে বিনিয়োগ করলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়বে। বাজারের প্রতি ভয়টাও কেটে যাবে। তবে সবকিছুর আগে শেয়ারবাজারে সুশাসন জরুরি।

গত সপ্তাহে ৬০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের মূল্য কমেছে। এই সময়ে ৩৬০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ১১৮টি, কমেছে ২১৮টি, অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি এবং লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার।

তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের মূল্য কমেছে। এই সময়ে ডিএসইতে লেনদেন ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৫ কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২২৫ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৬ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৯ টাকা। ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৪০ কোটি ৩৩ লাখ ৩৮ হাজার ২৩৩ টাকা।

বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, গত সপ্তাহে সব ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে ডিএসইর লেনদেনে সপ্তাহজুড়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরির দাপট লক্ষ করা গেছে। লেনদেনে জেড ক্যাটাগরির দখলে ছিল ৯০ শতাংশ।  শুধু তাই নয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গত সপ্তাহে মূল্য বাড়ার শীর্ষ তিনটি স্থানই দখল করেছে জেড ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের কাছে চাহিদার শীর্ষে ছিল জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ার।

জিল বাংলা সুগার মিলের পরেই সপ্তাহ জুড়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে ছিল জেড ক্যাটাগরির আরেক প্রতিষ্ঠান শ্যামপুর সুগার মিল। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য বেড়েছে ৪২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে ইউনাইটেড এয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।