দিল্লি আদালতের নির্দেশে স্থগিত নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসি

by

ভারতের মেডিক্যাল শিক্ষার্থী নির্ভয়া ধর্ষণে জড়িত ৪ আসামি অক্ষয় ঠাকুর সিং, মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা ও বিনয় শর্মার ফাঁসি কার্যকরের নির্ধারিত তারিখ ছিল ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার)। এর একদিন আগে শুক্রবার দিল্লির একটি আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়েছে নির্ভয়ার চার অপরাধীর ফাঁসি। আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকর হবে না। এক আসামির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই স্থগিতাদেশ দেন বিচারক।

https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/01/31/1864272c8128fd6b9db3d09caaded2d2-5e345cfe5baa1.jpg

২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী। মিডিয়ায় ‘নির্ভয়া’ স্বীকৃতি পাওয়া ওই নারী ১৩ দিন পর সিংগাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে বিক্ষোভকারীদের চাপে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে আইন পরিবর্তনেও বাধ্য হয় ভারত সরকার। এ ঘটনার সাত বছর পর চার আসামির মৃত্যুদণ্ড হয়। আর বাসটির চালক রাম সিং কারাগারে আত্মহত্যা করে। অপর এক আসামি অপরাধের সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকায় তিন বছর সংশোধন কেন্দ্রে থাকার পর মুক্তি পায়। বাকি চারজনের শনিবার সকাল ৬টা তিহার কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

ফাঁসি কার্যকরের একদিন আগে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে নির্ভয়ার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের একজন পবন গুপ্তা। সে দাবি করেছে, নির্ভয়ার ওপর অত্যাচারের সময় সে নাবালক ছিল। এরপরই আদালত ফাঁসি কার্যকরে স্থগিতাদেশ জারি করে।

এর আগে একাধিকবার নির্ভয়াকে নির্যাতনের সময় সে নাবালক ছিল বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে ২৫ বছরের পবন গুপ্তা। প্রতিবারই তার দাবি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। গত ২০ জানুয়ারি পবনের স্পেশাল লিভ পিটিশন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি হাইকোর্টও তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণার সময় এই বিষয়টি খারিজ করে দেয়। সেই সময়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর বনুমথি মামলার এই দিকটি নিয়ে আর শুনানিতে সম্মত হননি। এভাবে একই বিষয় নিয়ে বারবার আবেদন করা যায় না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তারা। এর আগে পবনের বয়স সংক্রান্ত ভুয়ো নথিপত্র জমা দেওয়ায় তার আইনজীবী এপি সিং-কে কড়া তিরস্কার করে দিল্লি হাইকোর্ট।