https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/1600x0x0/uploads/media/2020/01/31/70348dd1af3cc8b0ca3ed27ae8bcbdb3-5e3455f08d538.jpg
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

এনআরসি নিয়ে সংসদে কিছুই বললেন না রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ

by

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) রূপায়ণের মাধ্যমে সরকার মহাত্মা গান্ধীর ইচ্ছাপূরণ করেছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বাজেট অধিবেশন শুরুর দিন সংসদের যৌথ অধিবেশনের ভাষণে এই কথা বললেও এনআরসির কোনো উল্লেখই করলেন না। অথচ গত বছর জুন মাসের ২০ তারিখে সপ্তদশ লোকসভা শুরুর দিন অনুষ্ঠিত সংসদের যৌথ অধিবেশনে তিনি বলেছিলেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরির (এনআরসি) কাজ তাঁর সরকার দ্রুত গ্রহণ করবে। সরকার কেন এনআরসি আনতে চায় তা তিনি সেদিন সবিস্তারে ব্যাখ্যাও করেছিলেন।

সিএএ, এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে দেশ উত্তাল। বিভিন্ন রাজ্যে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। দেশের রাজনীতি এখন এ নিয়েই আবর্তিত হচ্ছে। উত্তেজনা কমাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিছুদিন আগে এক প্রকাশ্য জনসভায় বলেছিলেন, এনআরসি নিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কোনো আলোচনাও হয়নি। সেই সময় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উল্লেখ করে বিরোধী নেতারা বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী অসত্য কথা বলছেন। আজ শুক্রবার ভারতীয় সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে এনআরসি প্রসঙ্গ অনুচ্চারিত রেখে বুঝিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে সরকার বিতর্ক বাড়াতে চায় না।

রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে বলেন, দেশভাগের পর গান্ধীজি বলেছিলেন, পাকিস্তান থেকে অত্যাচারিত হিন্দু, শিখ ও অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভারতের নাগরিকত্ব পেতে চাইলে তাদের তা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমি খুশি সংসদের উভয় কক্ষে সেই বিল পাশ করিয়ে আমার সরকার গান্ধীজির ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েছে।’

রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই সরকার পক্ষের সদস্যরা টেবিল চাপড়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে বিরোধীদের কণ্ঠে শোনা যায় ‘শেম শেম’ ধ্বনি। সংসদের সেন্ট্রাল হলের পেছন দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা এই সময় উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন। তাঁদের হাতে হাতে ‘নো সিএএ’, ‘নো এনআরসি’ লেখা পোস্টার। রাষ্ট্রপতির ভাষণ চলাকালে মৌনাবস্থায় তাঁরা সেই পোস্টার ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন। কংগ্রেস, ডিএমকে, এনসিপিসহ বিরোধী দলগুলোর সাংসদেরা হাতে কালো ব্যান্ড বেঁধে যৌথ অধিবেশনে যোগ দেন। সিএএ, এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিরোধী নেতারা কেউই সামনের আসনে বসেননি। সোনিয়া গান্ধীসহ সবাই বসেছিলেন পেছনের আসনে।