মেয়েদের দলবদলে হতাশা

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/700x0x1/uploads/media/2020/01/31/ec745694c3262b9f64e69ce73db0083e-5e344d1eb8aac.jpg

মেয়েদের লিগের জন্য সাবিনা-কৃষ্ণারা কম হা-পিত্যেশ করেননি। অবশেষে তাদের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। ৬ বছর পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে লিগ। দলবদল শেষ হয়েছে আগেই। এখন লিগ মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা। কিন্তু শুরু হওয়ার আগেই লিগ নিয়ে হতাশার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। এবারের লিগে যে জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ই দল পাননি!

শুধু জাতীয় দলে খেলা খেলোয়াড় নন। বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলা খেলোয়াড়ও আছেন, যাদের অনেককেই খেলার বাইরে থাকতে হচ্ছে। বাফুফে ভবনে জাতীয় দলসহ সবমিলিয়ে ৫৭ জন খেলোয়াড় নিয়মিত অনুশীলন করে থাকে। এরমধ্যে বসুন্ধরা কিংসে ১৯ জন গেছেন। ১৭ জন খেলছেন নাসরিন একাডেমির হয়ে। এছাড়া চারজন খেলবেন এফসি উত্তরবঙ্গে।

বসুন্ধরা কিংসে সবাই ভালো পারিশ্রমিক পেলেও বাকী দলগুলোতে খেলতে হচ্ছে নামকাওয়াস্তে! এছাড়া ১৭ জন খেলোয়াড়ের তো খেলারই সুযোগ হচ্ছে না। এরমধ্যে জাতীয় দলে খেলা মার্জিয়া, আনুচিং ও আনাই মোগিনি, নাজমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র উল্লেখযোগ্য।

এমন পরিস্থিতি দেখে জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বেশ হতাশ, ‘ক্যাম্পে থাকা সবাই এবার লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। এটা আসলেই বেশ হতাশার খবর। শুধু তাই নয় দল পাওয়া অনেক খেলোয়াড় শুধু টোকেন মানি নিয়ে খেলছে। এমনিতেই অনেক দিন পর লিগ হতে যাচ্ছে। সেই লিগে যদি সবাই খেলতে না পারে তাহলে কী বলার আছে?’

তবে এই লিগ খেলে খেলোয়াড়দের কতটুকু উন্নতি হবে-এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ছোটন, ‘একমাত্র বসুন্ধরা কিংস ছাড়া আর কেউ তো ভালো দল গড়েনি। তারা খেলা শুরুর আগেই চ্যাম্পিয়ন। এখন অন্য দলগুলোর যা অবস্থা তাতে করে একপেশে লিগ হবে তা নিশ্চিত। তাই এই লিগ খেলে সবার উন্নতি হবে কিনা আমি বেশ সন্দিহান।’

প্রিমিয়ার লিগের দল হিসেবে শুধুমাত্র বসুন্ধরা ছাড়া অন্য কেউ অংশ নিচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে বাফুফের মহিলা লিগ কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তারের অসহায় সুর, ‘আমরা সবাইকে এই লিগ খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেভাবে কেউ সাড়া দেয়নি। এখন তারা খেলতে না আসলে আমাদের কী করার আছে। আমরা তো সবরকম চেষ্টা করেছি।’

তবে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কর্মকর্তা আনোয়ারুল করিম বলছেন অন্য কথা, ‘মেয়েদের লিগ নিয়ে বাফুফে থেকে সেভাবে আমাদের বলা হয়নি। যদি লিগে অংশগ্রহণটা বাধ্যতামূলক হতো তাহলে হয়তো খেলতাম। এছাড়া আমাদের ছেলেদের দল চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। তাই অন্য লিগে খেলা কঠিন।’