আমেরিকায় প্রবেশ কঠিন হচ্ছে

by

গ্রিনকার্ড নিয়ে আমেরিকায় প্রবেশের পর কোনো ব্যক্তি যেন পাবলিক রিসোর্সের ওপর নির্ভরশীল না হয়, তা নিশ্চিত করতে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) চূড়ান্ত নীতিমালা প্রকাশ করেছে। নতুন নীতিতে, কোনো ব্যক্তি নিজের অথবা পরিবারের সদস্যদের অথবা তার জন্য ফরম আই-৮৬৪, অ্যাফিডেভিট অব সাপোর্ট প্রদানকারী স্পনসরের ওপর নির্ভরশীল হবেন কিনা তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাক্ট, ১৯৫২-এর ২১২(এ)(৪) ধারায় সংশোধনী এনে গৃহীত এই নতুন নীতিমালার আলোকে কোনো ব্যক্তি আমেরিকায় প্রবেশের আগেই কনস্যুলার অফিসার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। কর্মকর্তা যদি মনে করেন, ভবিষ্যতে কখনো আবেদনকারী ব্যক্তি সরকারি সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন, তাহলে তাঁকে প্রবেশযোগ্য নয় বা ‘ইনঅ্যাডমিসিবল’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

আমেরিকায় প্রবেশের পর যারা বিয়ে কিংবা কর্মসূত্রে ফরম আই-৪৮৫, অ্যাপ্লিকেশন ফর অ্যাডজাস্টমেন্ট অব স্ট্যাটাসের মাধ্যমে গ্রিনকার্ডের আবেদন করবেন, এই নীতিমালায় তাঁদের কাছ থেকে কমপক্ষে ৮,১০০ ডলার পাবলিক চার্জ বন্ড আদায়ের জন্য ইউএসসিআইএসকে বাড়তি অথোরিটি দেওয়া হয়েছে। এমনকি শিক্ষার্থী, পর্যটকদের মতো নন-ইমিগ্রান্ট অ্যালিয়েনদের মধ্যে যারা একটি নির্দিষ্ট পরিসীমার বাইরে চিহ্নিত কিছু পাবলিক বেনিফিট নিয়েছেন, নতুন নীতিমালায় তাঁদের আমেরিকায় বসবাসের মেয়াদ বৃদ্ধির (এক্সটেনশন অব স্টে) অথবা স্ট্যাটাস পরিবর্তনের অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

নতুন নীতিমালায় পাবলিক চার্জের সংজ্ঞাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সর্বশেষ ৩৬ মাসের মধ্যে যদি কোনো ব্যক্তি ১২ মাসের বেশি সাপ্লিমেন্টারি সিকিউরিটি ইনকাম (এসএসআই), টেম্পোর‌্যারি অ্যাসিস্ট্যান্স টু নিডি ফ্যামিলি (টিএএনএফ), ফুড স্ট্যাম্প বা সাপ্লিমেন্টাল নিউট্রিশনাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (স্ন্যাপ), মেডিকেইডের মতো কোনো সরকারি সুবিধা গ্রহণ করেন, তাহলে তাঁকে এই নতুন সংজ্ঞায় পাবলিক চার্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।

উল্লেখ্য, মেডিকেইড ও অ্যাসেনশিয়াল প্ল্যান কিন্তু এক নয়। কোনো ব্যক্তি আমেরিকায় প্রবেশের পর প্রথম পাঁচ বছর ইনস্যুরেন্সের মাধ্যমে যে চিকিৎসাসেবা পান, তা হলো অ্যাসেনশিয়াল প্ল্যান। পাঁচ বছর পর ওই ব্যক্তি হাউসহোল্ড ইনকামের ওপর ভিত্তি করে মেডিকেইডের যোগ্য হতে পারেন। নতুন নীতিমালায় পাবলিক চার্জ হিসেবে কিন্তু অ্যাসেনশিয়াল প্ল্যানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অর্থাৎ আমেরিকায় প্রবেশের পর প্রথম পাঁচ বছর ইনস্যুরেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করলেও যেহেতু কেউ পাবলিক চার্জের আওতায় পড়বেন না, সেহেতু পাঁচ বছর পর ন্যাচারালাইজেশনের মাধ্যমে সিটিজেন হতে তাঁর কোনো বাধা থাকবে না। এ ছাড়া ২১ বছরের কম বয়সী, অন্তঃসত্ত্বা ও জরুরি চিকিৎসাসেবার আওতায় পড়া কেউ মেডিকেইড নিলেও তাকে পাবলিক চার্জ হিসেবে গণ্য করা হবে না। আবার শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী, পারিবারিক নির্যাতনের শিকার, ইউ-ভিসা নন-ইমিগ্রান্ট ও স্পেশাল ইমিগ্রান্ট জুভেনিলদের ক্ষেত্রে এই নীতিমালাই প্রযোজ্য হবে না।