করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে নিউইয়র্ক

by

চীনে ছড়িয়ে পড়া রহস্যময় করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সারা বিশ্বে এই ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমেরিকায় এই ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি কুইন্সে চীন থেকে ফিরে আসা কিছু মানুষকে একঘরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় নিউইয়র্ক সিটির অবস্থান উদ্বেগজনক। জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, নিউইয়র্ক সিটিতে ভাইরাসটি দেখা দেওয়া সময়ের বিষয় মাত্র। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে কিছু চীনা নাগরিক উহান শহর ভ্রমণ করে ফিরে এসেছেন। চীনের উহান থেকে সম্প্রতি যারা ফিরেছেন তাদের বা তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে—তাদের যদি শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশি জ্বর বা ফ্লুর লক্ষণ থাকে তবে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটির স্বাস্থ্য কমিশনার অক্সিরিস বারবোট ২৬ জানুয়ারি বলেছেন, উহান থেকে ফ্লাইট বাতিল হওয়ার আগে কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানো যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন তাদের বাড়িতে বসে নিজেকে আলাদা করে রেখেছেন। একজন ব্যক্তি কীভাবে কুইন্সে তাঁর নিজের বাড়িতে সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন সে বিষয়ে তাঁর বন্ধুরা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির দরজায় তাঁরা তিন বেলা বিশেষ বিশেষ খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে আসতেন।
সিটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নতুন করোনাভাইরাসটির সম্ভাব্য কেস হিসেবে ধরা হয়েছে এমন নয়জন রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোতে রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন।
গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ২৭ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, এই রোগীদের মধ্যে চারজনের মধ্যে ভাইরাস নেই। অন্য পাঁচজনের পরীক্ষা এখনো শেষ হয়নি।
প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা বলেছিলেন, রোগী বেলভিউ হাসপাতালের একটি বায়ো কন্টেইনমেন্ট ইউনিটে আছে। এরপর তাঁকে ঘরে পাঠানো হবে। তবে এটি নির্ভর করছে তিনি কতটা অসুস্থ তার ওপর।
বারবোট বলেছেন, এখনো ভাইরাসে আক্রান্ত কিছু লোক রয়েছে। তিনি পাবলিক প্লেসে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছেন।