ট্যাক্স ফাইলিংয়ের জন্য পেশাদার নিয়োগ করুন

by

আমেরিকায় আয়কর বিবরণী (ট্যাক্স রিটার্ন) জমা নেওয়া শুরু হয়েছে ২৭ জানুয়ারি থেকে। ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) ওই দিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্যাক্স রিটার্ন জমা নেওয়া শুরু করে।

আইআরএস জানিয়েছে, সাধারণত ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিয়েই তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে রিটার্নের সমপরিমাণ অর্থ গ্রহণ করেন অনেকে। জরুরি প্রয়োজনে গ্রহণ করা এ অর্থের জন্য ফি বা সুদ গুনতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। কিন্তু সঠিকভাবে ও আগেভাগেই রিটার্ন দাখিল করলে এবং দাখিলকারীর ব্যাংকে সরাসরি রিফান্ড জমা দেওয়ার (ডিরেক্ট ডিপোজিট) ব্যবস্থা থাকলে ১০ দিনের মধ্যেই রিফান্ডের অর্থ ফেরত পাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সবাইকে পেশাদারদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছে আইআরএস।

অভিজ্ঞ কর বিশেষজ্ঞদের মতে ট্যাক্স ফাইলিংয়ের পর কত দ্রুত রিফান্ড আসছে, তা বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এর মধ্যে মৌসুমের শুরুতেই রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে কি না, করদাতার কী ধরনের ক্রেডিট দাবি রয়েছে, চাইল্ড ক্রেডিট দাবি করা হচ্ছে কি না—এসব বিষয় বিবেচ্য। এ ধরনের বিষয় থাকলে রিফান্ড পেতে সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আয়কর রিফান্ড পেতে দেরি হলে নিযুক্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে জানতে চান। এ ছাড়া আইআরএসের ওয়েবসাইটে গিয়েও জানা যাবে। ওয়েবসাইটে ‘হয়্যার ইজ মাই রিফান্ড’ লেখা একটি বাটন রয়েছে, যেখানে ক্লিক করে বিষয়টি সম্পর্কে জানা যাবে।
ট্যাক্স রিটার্ন নিয়ে যেকোনো জটিলতা এড়িয়ে চলুন। কোনো অবস্থাই অতিরিক্ত রিফান্ড পাওয়ার জন্য কোনো মিথ্যা তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকুন। যারা বলেন, বেশি রিফান্ড পাইয়ে দেবে, তাদের এড়িয়ে চলুন। নিরাপদ থাকুন।

যে করদাতারা কোনো পেশাদার, যেমন সিপিএ বা ইএ নিয়োগ করেন, তাঁরা সেই পেশাদারকে তাঁদের ট্যাক্স রিফান্ডের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন। পেশাদার লোকজন দিয়ে ফাইলিং করালে ট্যাক্স রিটার্ন যথাযথভাবে ফাইল করার বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। যারা কাগজে ট্যাক্স রিটার্ন করে ই-মেইলে বিবরণী দাখিল করেন, তাঁদের সাধারণত ২১ দিন সময় লাগে। আইআরএস ইলেকট্রনিক ফাইলিংয়ে উৎসাহ দেয়। কারণ এ প্রক্রিয়ায় রিফান্ড দ্রুত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মনে রাখুন, ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ব্যক্তিগত ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে না পারলে সময় বর্ধিত করার আবেদন জানানো যেতে পারে। তবে এ বিকল্পের জন্য অপেক্ষা না করাই ভালো।