আমেরিকায় চার দশকের গল্প শোনালেন গিয়াস উদ্দিন
by উত্তর আমেরিকা অফিসনিউইয়র্কের প্রবাসী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসে বাংলাদেশি কমিউনিটি বিনির্মাণের অন্যতম পথিকৃৎ গিয়াস উদ্দিনের ‘আমেরিকায় সাফল্যের চার দশক’ উদ্যাপিত হয়েছে। মূলধারার রাজনীতিকসহ কমিউনিটির নানা পেশার মানুষের উষ্ণ সংবর্ধনায় সিক্ত হন বাংলাবাজার জামে মসজিদ ও স্টার্লিং-বাংলাবাজার বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গিয়াস উদ্দিন।
২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসের একটি পার্টি সেন্টারে কমিউনিটিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য গিয়াস উদ্দিনকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ-আমেরিকান স্টাডি সেন্টার আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ফুলেল শুভেচ্ছা আর ক্রেস্ট, প্রক্লেমেশন প্রদান করে তাঁকে সম্মাননা জানানো হয়।
গিয়াস উদ্দিন সিলেটের ছাতকের দোকানবাড়ি থেকে নিউইয়র্কে ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৮ বছরের অভিবাসী জীবনের সংগ্রাম-সাফল্যের নানা কথা উল্লেখ করে বলেন, আজকের এ সম্মাননার মাধ্যমে আমাকে নয়, গোটা বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সম্মানিত করা হলো। গিয়াস উদ্দিন তাঁর আমেরিকা অভিযাত্রার গল্প শোনান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রঙ্কস থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলম্যান রুবিন ডিয়াজ, সাবেক স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান এরিক এ স্টেভেনসন, গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী এ অ্যান্ড এ ভেরাইটি ডাবল ডিসকাউন্ট এবং জি অ্যান্ড আর ভেরাইটি ডিসকাউন্ট ইন্ক-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রোওশনা উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আহসান লার্নিং সেন্টারের প্রেসিডেন্ট আহসান উদ্দিন, বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের সভাপতি মোহাম্মদ এন মজুমদার, বারী হোম কেয়ারের কর্ণধার আসেফ বারী টুটুল, হেলাল উদ্দিন, ম্যানহাটন বাংলা সাংস্কৃতিক স্কুলের সিইও ইকবাল আহমেদ মাহবুব, মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরী, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টিভির সিইও আবু তাহের, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট আফতাব আলী, হাসান আলী, নুরুল আহিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য কাউন্সিলম্যান রুবিন ডিয়াজ প্রক্লেমেশন, এনওয়াই পিডির ৪৩ প্রিসেঙ্কট ও খলিল বিরিয়ানি হাউসের স্বত্বাধিকারী মো. খলিলুর রহমান রিকগনিশন ক্রেস্ট ও অন্যান্যরা গিয়াস উদ্দিনকে নানা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেন।
আশরাফুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কাশেম এয়াহইয়া। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা শহীদুল্লাহ।
কাউন্সিলম্যান রুবিন ডিয়াজ স্টার্লিং-বাংলাবাজার এলাকায় গিয়াস উদ্দিনের অবদানের কথা তুলে ধরেন। বক্তারা কমিউনিটি বিনির্মাণে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার প্রশংসা করে তাঁকে ব্রঙ্কস কমিউনিটির উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘকাল থেকে ব্রঙ্কসে বসবাসকারী গিয়াস উদ্দিন বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তাঁরা প্রত্যাশা করে বলেন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের মতো অন্য সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কমিউনিটি আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
গিয়াস উদ্দিন সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এভাবে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার।
পরে গিয়াস উদ্দিন তাঁর স্ত্রী রোওশনা উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁদের বর্ণিল বিয়ে বার্ষিকীর কেক কাটেন। অনুষ্ঠান উপলক্ষে গিয়াস উদ্দিনের ‘আমেরিকায় সাফল্যের চার দশক’ নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।