https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/1600x0x0/uploads/media/2020/01/31/d490568e94818c2c2d6db6d391ebf9d2-5e33fe003c8ba.jpg
বিয়ের সাজে ইয়াশরিকা

পছন্দের নারীকে বিয়ে করলেন বাংলাদেশি মেয়ে ইয়াশরিকা

by

প্রায় অর্ধ মিলিয়ন ডলার খরচ করে নিজের পছন্দের নারীকে বিয়ে করলেন বাংলাদেশের মেয়ে ইয়াশরিকা জাহরা হক। আমেরিকান নারী এলিকা রুথ কাকলিকে (৩১) সম্প্রতি বিয়ে করে ঘরনি হলেন ৩৪ বছর বয়সী ইয়াশরিকা। উত্তর আমেরিকায় ইয়াশরিকাই সম্ভবত প্রথম বাংলাদেশি নারী, যিনি সমলিঙ্গের বিয়ে করে পেতেছেন ভালোবাসার সংসার।

ইয়াশরিকা ও কাকলির এই বিয়ে নিয়ে গত বছরের ৮ জুন ঘটা করে প্রতিবেদন করে নিউইয়র্ক টাইমস। ২০১৯ সালের ৭ জুন বাংলাদেশি কায়দায় ইয়াশরিকা তাঁর পছন্দের নারী এলিকা রুথ কাকলিকে বিয়ে করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের র‍্যাপিড সিটি সাউথ ডাকোটার বাংলাদেশি বাসিন্দা ইয়াসমীন হক ও ইয়ামীন হকের মেয়ে ইয়াশরিকা ওয়াশিংটনের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তারপর ইলিনয়ের নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে একটি আইনি প্রতিষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েট হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৫ সালে একটি এলজিবিটিকিউ মার্চে মার্কিন যুবতী এলিকা রুথ কাকলির সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা হয় তাঁর। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে প্রণয় ও পরিণয়। তাঁদের এই বিয়ে আমেরিকায় হলেও বিয়ের সব আয়োজনে ছিল বাঙালিয়ানার ছোঁয়া।

নিজেদের প্রেমের কথা জানাতে গিয়ে ইয়াশরিকা বলেন, ‘কাকলিকে প্রথম দেখার পর আমার যে কেমন লেগেছিল, তা বলতে পারব না। তখন সে একা ছিল। আমিও তার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম। পরেরবারের দেখায় কথা হয় আমাদের।

কয়েক মাস পর তাঁদের আবার দেখা হয় এক বন্ধুর পার্টিতে। সেই সাক্ষাতের বিষয়ে কাকলি বলেন, ‘আমি তত দিনে বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমাকে ইয়াশরিকা পছন্দ করে। সেদিন আমরা সারা রাত একসঙ্গে গল্প করেছিলাম। সে খুবই মায়াবী, আর যত্নশীল একটি মেয়ে। যা-ই হোক না কেন সে আমার পাশেই থাকবে।’

ইয়াশরিকা বলেন, ‘তখনো বিয়ের কথা ভাবিনি। আমি কেবল পালানোর চেষ্টা করছিলাম। কারণ আমি মনে করি না, কারও সঙ্গে থাকা আমার পক্ষে সঠিক ছিল। বিয়ের পর এখন আমার মনে হয় যে, এত দিনে দুটো চুম্বক জোড়া লাগল। আমি খুবই খুশি।’

তাঁদের বিয়ের সম্পূর্ণ আয়োজনটি হয়েছিল ব্রুকলিনের ২৪০ কেন্ট অ্যাভিনিউতে। বিয়েতে বাঙালি বিয়ের ঐতিহ্য অনুযায়ী ইয়াশরিকার পরনে ছিল লাল টুকটুকে বেনারসি; দু হাতের কনুই থেকে হাতের তালু পর্যন্ত ছিল মেহেদির আলপনা। আর এলিকা রুথের পরনে ছিল অফ হোয়াইট রঙের শেরওয়ানি, লাল পায়জামা।