খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ
by উত্তর আমেরিকা অফিস‘একদফা এক দাবি, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’—এমন স্লোগান নিয়ে প্রবাসে মাঠে নেমেছে ভার্জিনিয়া স্টেট বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নেত্রীর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজপথে সরব অবস্থান জানান দিচ্ছে সংগঠনটি। আর এই আন্দোলন সংগ্রামের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন ভার্জিনিয়া বিএনপির নেতা নেসার আহমেদ।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ওয়াশিংটন ডিসি বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ভার্জিনিয়া স্টেট বিএনপি।
শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করেই ভার্জিনিয়া স্টেট বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেয় বিক্ষোভে। বিক্ষোভে স্লোগান ছিল—‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, দিতে হবে।’
এ সময় তাঁরা প্রতিজ্ঞা করেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিক্ষোভ শেষে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে ওয়াশিংটন ডিসি দূতাবাসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা। বিক্ষোভে সংহতি জানিয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপি।
ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজ খানের নেতৃত্বে বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করে। তাঁদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির নেতা জাহিদ খান, আইটি বিশেষজ্ঞ মোশারফ হোসাইন, সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা দেওয়ান বিপ্লব।
ভার্জিনিয়া স্টেট বিএনপির নেতা নেসার আহমেদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন—আইটি বিশেষজ্ঞ মো. জামান, বিএনপির নেতা জাহেদ চৌধুরী, কিশলুর রহমান, মোরশেদ টিটো, নেত্রী কামরুন নাহার, লাকি রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান ও ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির নেতা দেওয়ান বিপ্লব, ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজ খান। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. পিয়াস, মো. আল মামুন, রাসেল বিশ্বাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে জেলে বন্দী করে রেখেছে সরকার। সরকার তাঁর নেতৃত্বকে ভয় পায় বলেই, ৭৫ বছর বয়সে খালেদা জিয়ার ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করে অন্যায়ভাবে তাঁর জামিন আটকে রেখেছে। শুধু খালেদা জিয়াই নয়, সরকারের প্রতিহিংসার কারণেই জিয়ার পরিবারের ওপর আজ খড়্গহস্ত নেমে এসেছে।
বক্তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন কারাবন্দী করে রাখায় তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে না ঠিকমতো চিকিৎসা। এতে অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। বাম হাত সম্পূর্ণ বেঁকে গেছে। এ সময় নেত্রীকে মুক্তি দিয়ে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় জানিয়ে বিএনপির নেতারা বলেন, ইতিহাসে অনেক বড় বড় স্বৈরাচারী শাসক এসেছে। কিন্তু কালের বিবর্তনে কেউ টিকে থাকতে পারেনি। কাজেই আওয়ামী লীগ অন্যায়ভাবে মানুষের মৌলিক অধিকার কুক্ষিগত করে আজ টিকে থাকুক না কেন, একটা সময় তাদের অবশ্যই পতন হবে।
বক্তারা বলেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি। আওয়ামী লীগকেও করবে না। দেরিতে হলেও তাদের অন্যায়-অবিচারের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় প্রবাসী বিএনপির নেতারা।
বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজ খান, ভার্জিনিয়া স্টেট বিএনপির নেতা নেসার আহমেদ, মো. জামান ও জাহেদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ওয়াশিংটন ডিসি বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। দূতাবাসের কর্মকর্তারা এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন।