নথিভুক্ত না করেই করোনা ভাইরাসে মৃতদের দাফন করছে চীন?

by

চীনে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের সংখ্যা কর্তৃপক্ষের দাবির চেয়ে আরও বেশি হতে পারে অভিযোগ উঠেছে। দাবি করা হচ্ছে, সংখ্যা কম দেখানোর জন্য কর্মকর্তারা তাড়াহুড়ো করে নথিভুক্ত না করেই মৃতদের দাফন করা করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে এসেছে।

https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/01/31/f6282dcbf9dac158d5332b2de8652076-5e3409691f549.jpg

খবরে বলা হয়েছে, উহান শহরের শশ্মান কর্মীরা অভিযোগ করেছেন হাসপাতাল থেকে পাঠানো মরদেহগুলো সরকারি নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা ছাড়াই তাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

শুক্রবার নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২১৩ জন বলে জানিয়েছে চীন। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সত্যিকার মৃতের তুলনায় এই সংখ্যা ‘অনেক কম’। এতে করে মৃতের সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ জোরালো হচ্ছে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের পূর্ব-এশিয়া প্রতিনিধি উইলিয়াম ইয়াং দ্য সান’কে বলেছেন, বিশ্বকে চীন যে তথ্য দিচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহ করার কারণ রয়েছে। ভাইরাস বিষয়ে অনেক কিছুতেই তারা অনেক বেশি স্বচ্ছ হলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে তারা ধোঁয়াশাচ্ছন্ন ও বিশ্বস্ত নয়।

ইয়াং আরও বলেন, হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনিটিয়াম চীনা শশ্মানকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা দাবি করেছেন, যথাযথ শনাক্তকরণ ছাড়াই মরদেহ সমাহিত করা হচ্ছে। এর অর্থ হলো, যেসব রোগী নতুন ভাইরাসে মারা গেছেন, তাদের কথা সরকারি পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হচ্ছে না।

ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চীন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে হুবেই প্রদেশ ও উহান শহরের ৫ কোটিরও বেশি মানুষকে কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। তবে এতে করেও মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন করে ৪৩ জনের মৃত্যুর পর শুক্রবার চীন মৃতের সংখ্যা ২১৩ বলে জানিয়েছে। এসব মৃত্যু হুবেই শহরে হয়েছে এবং বেশিরভাগই বয়সে প্রবীণ।

চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন শুক্রবার আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৯২ জন বলে জানিয়েছে।

এর আগে ২০০২-০৩ সালে একইভাবে সার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল ২৫টিরও বেশি দেশে। ওই সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।