প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/01/31/fabd3c00d611ecd7007681e2f5813681-5e341529cb226.jpg
২১ জানুয়ারি বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত ‘যাত্রী কল্যাণ সমিতির মোজাম্মেলের কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন’ শীর্ষক সংবাদ

২১ জানুয়ারি বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত ‘যাত্রী কল্যাণ সমিতির মোজাম্মেলের কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। প্রতিবাদলিপিতে ওই প্রতিবেদনের তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন।
প্রতিবাদলিপিতে মোজাম্মেল বলেন, ‘আমি সুদীর্ঘ জীবনের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কিছু বৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য করে অর্জিত অর্থের মাত্র ১৫ লাখ সাত হাজার টাকায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশের পাহাড়ি জনপদে অনাবাদি এলাকায় কিছু জমি কিনি। সেই জমিটি সরকারিভাবে প্রকাশিত মৌজা রেট অনুযায়ী দলিল সম্পন্ন করায় দলিলে কোটি টাকা মূল্য লেখাতে হয়। আমার প্রতিপক্ষ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওই দলিল সংগ্রহ করে দেশের সব পত্র-পত্রিকায় এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরে দফতরে বিলি করছে।’

তিনি আরও বলেন,  ‘আমার নামে কিছু নিবন্ধনবিহীন অটোরিকশা চলাচল করে বলে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে আমার অনেক পুরনো মাত্র একটি অটোরিকশা আছে যা আমার নামে নিবন্ধিত। আমি সুদীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের মফস্বল এলাকা থেকে প্রকাশিত ও স্থানীয়ভাবে বহুল প্রচারিত একাধিক পত্রিকার ঢাকা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এইসব পত্রিকার বিষয়ে ডিএফপিতে খোঁজখবর নিলে বিস্তারিত পাওয়া যেতো।’

এছাড়াও প্রতিবাদলিপিতে তিনি আরও জানান, যাত্রী কল্যাণ সমিতির দীর্ঘ প্রায় আট বছর আগের কমিটির সভাপতি শরীফ রফিকুজ্জামানকে বর্তমান সভাপতি হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই দীর্ঘসময়ে তার সঙ্গে সংগঠনের দূরতম সম্পর্কও নেই। যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাবেক অফিস পিয়ন সামসুদ্দিনকে সমন্বয়কারী সাজিয়ে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। বর্তমান নেতা ও কর্মকর্তাদের কারও সঙ্গে কথা বলা হয়নি।

প্রতিবেদকের বক্তব্য:

বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেই তৈরি করা হয়েছে। জমি কেনার সব দলিলপত্র থেকে প্রতিবেদনে জমির মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বক্তব্যও প্রকাশ করা হয়েছে। নিবন্ধনহীন অটোরিকশা চালানোর বিষয়টি মোজাম্মেল হক চৌধুরী নিজেই স্বীকার করেছেন। তার সেই নাম্বার প্লেটবিহীন অটোরিকশার তথ্য ছবিসহ প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।

শরীফ রফিকুজ্জামানকে তিনি আট বছর আগের সভাপতি হিসেবে প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করেছেন। দীর্ঘসময়ে তার সঙ্গে সংগঠনের দূরতম সম্পর্কও নেই বলেও অভিহিত করেছেন। কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৫ সালসহ পরবর্তীতে সময়ে একাধিক অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে শরীফ রফিকুজ্জামানের উপস্থিতি দেখা গেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি সভাপতিত্বও করেছেন। যার প্রমাণপত্র বাংলা ট্রিবিউনের কাছে রয়েছে।

প্রতিবাদলিপিতে সমিতির দুর্ঘটনা সমন্বয় সেলের সমন্বয়ক সামসুদ্দীন চৌধুরীকে অফিস পিয়ন হিসেবে উল্লেখ করলেও বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে পাঠানো ও প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাকে সমন্বয়ক হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পদের বিষয়টি সামসুদ্দীন চৌধুরী নিজেই বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন। তাছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাশে বসে সামসুদ্দীন চৌধুরীকে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করতে দেখা গেছে। একজন অফিস পিয়ন কখনোই একটি অনুষ্ঠানের সামনের অতিথিদের আসনে বসার কথা নয়। যার প্রমাণপত্র বাংলা ট্রিবিউনের হাতে রয়েছে।

এছাড়া মোজাম্মেল হক চৌধুরী যেসব পত্রিকায় চাকরি করে মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করেন বলে জানিয়েছেন, সেসব পত্রিকার অস্বিত্ব পাওয়া যায়নি। পত্রিকাগুলোর সঙ্গে বর্তমানে তার সম্পর্ক নেই বলেও তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন। প্রতিবাদলিপিতে তিনি সিএনজি ব্যবসাসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে কিছুই বলেননি। সুতরাং, বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ।

আরও পড়ুন: যাত্রী কল্যাণ সমিতির মোজাম্মেলের কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন