আবারও বন্ধ জয়পুরহাট চিনিকল

by

আখের অভাবে মাত্র ৪১ দিনের মাথায় দেশের বৃহত্তম জয়পুরহাট চিনিকলের আখ মাড়াই মৌসুম শেষ করতে হলো। মিলে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের ২ মাসের বকেয়া বিল ও চাষিদের সরবরাহ করা প্রায় ৯ কোটি টাকা আখের মূল্য এখনো পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আখের দাম বাড়াসহ চিনিকলটির আধুনিকায়নের পাশাপাশি বিকল্প শিল্প প্রতিষ্ঠান সংযোজন করার পরামর্শ বিশিষ্টজনদের।

জয়পুরহাট চিনিকলের চলতি মৌসুমের চিনি উৎপাদন শুরু হয় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর। কিন্তু আখ সরবরাহের অভাবে মাত্র ৪১ দিনের ব্যবধানেই বুধবার বিকেল ৪টায় মিলটি বন্ধ হয়ে যায়।

কর্তৃপক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের দুই মাসের বেতন ভাতা, সরবরাহ আখের মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় দুশ্চিন্তায় আখচাষি ও শ্রমিক-কর্মচারীরা।

জয়পুরহাট চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আলী আকতার বলেন, আখের পাওনা টাকা পরিশোধ হয়নি। ভারী শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে গেলে অতিসত্বর আখের মূল্য পরিশোধ করা দরকার।

চিনিকলটি লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে আখের মূল্য বৃদ্ধি ও মিলের আধুনিকায়নের পাশাপাশি বিকল্প শিল্প প্রতিষ্ঠান সংযোজন করার পরামর্শ বিশিষ্টজনদের।

জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহসান কবির বিপ্লব বলেন, আখের দাম পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে। কৃষকদের আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং চিনিকলের সম্পূরক আরও কারখানা করতে হবে।


তবে সব কিছু সমাধান করে আগামী মৌসুমে চিনিকলটি অন্তত ৩ মাস চালু রাখার আশা করছেন জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন আকন্দ।

তিনি বলেন, গেল বছর তাদের চাহিদা মেটাতে না পারায় তারা অন্য ফসলে আগ্রহী হয়েছিলেন। কিন্তু এ বছর আমরা তাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছি। আগামী বছর আরও বাড়বে।

২১৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত জয়পুরহাট চিনিকলটির বর্তমান স্থায়ী, অস্থায়ী ও চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা সহস্রাধিক। ২০১৮-১৯ মৌসুমের ৭০ কোটি টাকাসহ মিলটির বর্তমান পুঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৪৮০ কোটি টাকা।