ভারতের যে ফাস্ট বোলারকে বিশ্বসেরা বললেন শোয়েব
by স্পোর্টস ডেস্কবিশ্বসেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে ভারতের কারও নাম উঠে আসা গত কয়েক বছর ধরে নতুন কিছু নয়। কিন্তু এমন দাবি যখন করেন সবচেয়ে দ্রুতগতির বলের মালিক শোয়েব আখতার, তখন সেটা বিশেষ কিছুই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মোহাম্মদ সামিকে ‘বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলার’ বললেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।
শেষ ওভারে ৯ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। ক্রিজে ছিলেন সেট ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলর। স্বাগতিকদের থামানোর কঠিন দায়িত্ব পান সামি। প্রথম বলেই তাকে ছয় মারেন টেলর। ডানহাতি সিমার ঘুরে দাঁড়ান এরপরই। দ্বিতীয় বলে একটি রান আসে। চার বলে দরকার ছিল ২ রান। উইলিয়ামসনকে বিদায় করেন সামি, পরেরটি ডট বল। টিম সেইফার্ট একটি বাই রান নিলে শেষ বলে মাত্র ১ রান দরকার ছিল স্বাগতিকদের। ওই বলে সামি উপড়ে ফেলেন টেলরের স্টাম্প।
ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে, জয়ের বাকি কাজ সারেন রোহিত শর্মা। শেষ দুই বলে দুটি ছক্কায় ম্যাচ জেতান তিনি। শোয়েবের মতে, জয়ের কৃতিত্বটা সামির। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার বলেছেন, ‘প্রথম বলে টেলর যখন সামিকে ছক্কা মারলো, আমি ভেবেছিলাম খেলা শেষ। কিন্তু সামি অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরালো। সে বুঝতে পেরেছিল, উইকেটে কিছুটা আর্দ্রতা আছে। তাতে সঠিক লেন্থে বল করলে স্কিড করতে পারে।’
শোয়েব তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে টেলর ১৩১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ম্যাচটির কথা এখনও মনে পড়ে ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘণ্টায় রেকর্ড ১৬১.৩ কিমি গতিতে বল করা শোয়েবের, ‘আমার শেষ ম্যাচে টেলর মিডউইকেটের দিকে অনেক শট খেলেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে এবার শেষ বলে একই শট খেলতে গিয়ে ব্যাটে লেগে বল স্টাম্পে আঘাত করলো। কিন্তু কৃতিত্ব সামির।’
বৈচিত্র্যময় লেন্থ আর চাপের মধ্যেও ঠাণ্ডা মাথায় বোলিং করার ক্ষমতা সামির, তাকেই বর্তমান সময়ের সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে দেখছেন শোয়েব, ‘সামি অনেক চতুর বোলার। সে ভারতের প্রাপ্তি এবং বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলার সে। পরিস্থিতি যেমনই হোক, সে সবসময় ভালো করবে। সেটা বিশ্বকাপ কিংবা নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি, যা-ই হোক। সে স্মার্ট ফাস্ট বোলার। যখন বুঝতে পারবে ইয়র্কার কাজ করছে না, তখন সে লেন্থ বোলিং আর বাউন্সারে চলে যেতে পারবে।’