‘বিতর্কিত’ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় পাস

http://www.dailyjanakantha.com/files/201912/1575914795_38.jpg

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতজুড়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই লোকসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)।

আজ সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিল উত্থাপন করলে এর পক্ষে ভোট পড়ে ২৯৩টি। আর বিপক্ষে পড়ে ৮২টি।

বিলটি সংখ্যালঘুদের বিপক্ষে নয়, এমনটি স্পষ্ট করে এরপর উত্থাপন করেন অমিত শাহ।

তবে এ নিয়ে প্রতিবাদে সরব বিরোধী শিবির। বিলটিকে বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির কৌশল বলে মন্তব্য করছেন বিরোধীরা।

লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, প্রশাসন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সংখ্যালঘুদের দিকে নজর দিয়েছে।

বিলের বিরোধিতা করে তৃণমূলের সংসদ সদস্য সৌগত রায় বলেন, ৩৭০ ধারা বাতিলের সময় বলা হয়েছিল, এক দেশ, এক সংবিধান। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরার অনেক জায়গাকে অন্তর্ভক্ত করা হয়নি। এই বিল বিভাজনের উদ্দেশে করা হচ্ছে। যা সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারার পরিপন্থি।

এর আগে বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) প্রস্তাবিত বিলটি অনুমোদন পেয়েছিল ভারতীয় মন্ত্রিসভায়। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সরকারপক্ষ এই বিল রাজ্যসভায় পেশ করতে পারে।

বিলটি ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো। এই বিলের ফলে বহুসংখ্যক অবৈধ বসবাসকারী নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে রাজ্যগুলো।

এছাড়া সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, বিলটি পাস হওয়ার কারণে পাল্টে যাবে দেশের জনবিন্যাসের ধরন। কমে যাবে কাজের সুযোগ। একইসঙ্গে হ্রাস পাবে নিজস্ব সংস্কৃতিও।

বিলটিতে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিষ্টান অবৈধ অভিবাসীদের যাতে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া যায়, এ হিসেবেই এ সংশোধনী।