https://images.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1080521.1575888202!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_758/image.jpg
ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী, যদুবাবুর বাজারে হঠাৎ পরিদর্শন

by

এত দিন সরকার গঠিত টাস্ক ফোর্স এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের সদস্যরা রাজ্যের বাজারগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। এ বার ময়দানে নামলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি নিজেই আচমকা পরিদর্শনে গেলেন ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে। কথা বললেন খুচরো ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। ক্ষোভ প্রকাশ করে পেঁয়াজের দাম কমানোর নির্দেশও দিলেন তিনি।

এ দিন সরকারি কর্মসূচিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কালীঘাটের বাড়ি থেকে খড়্গপুরের উদ্দেশে রওনাও দিয়েছিলেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে তিনি পৌঁছন তাঁর বাড়ির কাছে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে। সেখানকারী ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চান, পেঁয়াজ-সহ অন্যান্য আনাজপাতির দাম কেমন? বাজারে সে সবের চড়া দাম শুনে রীতি মতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী এক মহিলা সব্জি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর কাছে পেঁয়াজ কত টাকায় বিক্রি করছেন জানতে চান মমতা। তিনি এক কেজি পেঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন শুনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘কত টাকায় আপনারা পেঁয়াজ কিনছেন? হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেল, না কি কেউ ইচ্ছা করে দাম বাড়াচ্ছে?’’ ওই মহিলা বিক্রেতা এর পর তাঁকে এক পাইকারি ব্যবসাদারের নাম বলেন।

ওই মহিলার পাশের দোকানে গিয়েও মমতা পেঁয়াজ-আলুর দাম জানতে চান। ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জবাব আসে, এক কেজি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা আর আলু ২২ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। মমতা পাল্টা তাঁর কাছে জানতে চান, ‘‘সুফল বাংলার গাড়ি আসে না?’’ এ প্রশ্নের জবাব যদিও ওই ব্যবসায়ী স্পষ্ট ভাবে দেননি। এর পর মমতা বাজারের ভিতরে গিয়ে এক পাইকারি ব্যবসায়ীর খোঁজ করেন। তাঁকে না পেয়ে মমতার মন্তব্য, ‘‘আমি তো পুলিশ নই। ধরতেও আসিনি।’’ এর পর অন্য এক ব্যবসায়ীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কত টাকায় আপনারা পেঁয়াজ কিনছেন? আমরা যদি ৫৯ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারি, তা হলে আপনাদেরও কম দামে বিক্রি করতে হবে। ১০০ টাকার নীচে পেঁয়াজের দাম করতেই হবে।’’ এর পরেই মমতা যদুবাবুর বাজার ছেড়ে বেরিয়ে যান।

https://www.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1080524.1575888816!/image/image.jpg

রেশন দোকানে পরিবার প্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ পেয়েছেন ক্রেতারা। —নিজস্ব চিত্র।

এ দিন থেকেই রাজ্যের প্রায় ৪৩০টি রেশন দোকানে ৫৯ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। সঙ্গে ১৩১টি সুফল বাংলা স্টলের পাশাপাশি ১০৫টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে সরকারি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে রাজ্য। রেশন দোকানে পরিবার প্রতি এক কেজি করে পেঁয়াজ পেয়েছেন ক্রেতারা।

এ সবের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমার ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্য সরকারের গড়ে দেওয়া টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে। তিনি এ দিন বলেন, “পেঁয়াজের দাম কমবে। আগের থেকে পোস্তায় পেঁয়াজের গাড়ি বেশি ঢুকছে।”