নারী পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2019/12/09/1b7207d75c83160689796f4b338828dc-5dee76f70ef06.jpg
নারীপাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য

চাকরি দেওয়ার কথা বলে জাল পাসপোর্ট তৈরি করে দরিদ্র নারীদের বিদেশে পাচারের মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের বিশেষ অপরাধ বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতার আসামিরা হলো—এমএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মকবুল হোসেন (৩৫), তার সহযোগী মো পারভেজ মাহমুদ (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন (২২), মো. সাদি হাসান (২৯) ও  মো. মাইনুদ্দীন ইসলাম পান্না (৩৪)। গত ২ ডিসেম্বর (সোমবার)  তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন জাহান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এজাহার দায়েরের পর মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সিআইডির এসআই মো. সিরাজ উদ্দিনকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। গত ২ ডিসেম্বর আসামি মকবুল হোসেনকে গ্রেফতারের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ফকিরাপুলে মকবুলের মালিকাধীন এমএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালে অভিযান চালিয়ে মকবুল হোসেন ও তার ৪ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় মকবুলের অফিসের ৩টি কক্ষে আলমারি ও ফাইল কেবিনেট তল্লাশি করে ৪৮৪টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, শতাধিক জাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, জাল প্রশিক্ষণ সনদপত্র জব্দ করা হয়। এরপর সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন বাদী হয়ে মকবুল ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় ধারায় মামলা দায়ের করেন।  

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন জাহান আরও জানান, নারী পাচারকারী চক্রের দুই সদস্য পান্না ও তৈয়ব ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ৩০ বছর বয়সী দেখিয়ে এমএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে যৌনকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে পাচার করে। এই ঘটনায় ওই কিশোরীর খালা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক মালিক মকবুল হোসেন ও দুই দালালকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার তন্তদকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘মকবুলের অফিস থেকে উদ্ধার করা পাসপোর্টের ঠিকানা ও বয়সের গরমিল পাওয়া গেছে। এছাড়া, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার সিল ওবং স্বাক্ষরও জাল করার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। আসামি মকবুল হোসেন তার অন্য সহযোগীদের নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে জাল পাসপোর্টসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট তৈরি করে দরিদ্র নারীদের বিদেশে পাচার করে আসছে। ইতোমধ্যে দালাল পান্না ও মকবুলের মাধ্যমে সৌদি আরবে যাওয়া দুই নারী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন।’ তারা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।