‘পতাকা, জাতীয় সংগীত বেজে ওঠা—সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত’
by ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাএসএ গেমসে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দল জিতেছে সোনা। এ সাফল্যে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কথা হলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অধিনায়কের সঙ্গে। কাঠমান্ডু থেকে মুঠোফোনে নাজমুল জানালেন তাঁর প্রতিক্রিয়া—
* এসএ গেমসে নারী ক্রিকেট দলের পর আপনারাও জিতেছেন সোনা, শুরুতে অনুভূতির কথা জানতে চাই।
নাজমুল হোসেন: আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন এটা। একজন খেলোয়াড় হিসেবে, অধিনায়ক হিসেবে এটা আমার কাছে অবশ্যই বড় আনন্দের মুহূর্ত।
* গেমসের সঙ্গে ক্রিকেটের অন্য সিরিজ-টুর্নামেন্টে নিশ্চয়ই একটা পার্থক্য আছে। সবচেয়ে বড় পার্থক্যটা কী মনে হয়েছে?
নাজমুল: এখানে আমাদের ক্রিকেটই খেলতে হয়েছে। এটা ঠিক নেপালে প্রথম এলাম ক্রিকেট খেলতে। প্রথমবারের মতো গেমসেও এলাম। সেদিক দিয়ে একটু অন্যরকম লেগেছে। উইকেটও বেশ কঠিন ছিল। কন্ডিশনও অনেক বড় বাধা ছিল। সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমরা ভালো খেলেছি। ব্যাটসম্যানরা-বোলাররা মানিয়ে নিয়েছে ভালোভাবে।
* বাংলাদেশ শক্তিশালী দল নিয়ে গিয়েছিল এসএ গেমসে। বলা হচ্ছিল, সোনা না জেতাটা হবে অনেক বড় ব্যর্থতা। সোনা জিততেই হবে, এটি কি অলক্ষ্যে বাড়তি চাপ তৈরি করেছিল আপনাদের ওপর?
নাজমুল: গেমসের আগে যখন অনুশীলন করেছি তখনই লক্ষ্য ঠিক করেছি সোনা জিততেই হবে আমাদের। বড় লক্ষ্য, তবে মোটেও চাপ অনুভব করিনি। কদিন আগে প্রায় ইমার্জিং কাপ খেলা দলটাই এসেছে এখানে। দলের সমন্বয়টা খুব ভালো ছিল। আমাদের মনে হয়েছে সোনাটা আমাদের পাওনাই ছিল।
* দেশের মাঠে ইমার্জিং কাপের ফাইনাল হেরেছিল বাংলাদেশ। আজ জিতে সে ফাইনাল হারের দুঃখে নিশ্চয়ই প্রলেপ পড়েছে?
নাজমুল: ইমার্জিং কাপের ফাইনালও আমাদের জেতা উচিত ছিল। প্রলেপ পড়ার কথা বললে, হ্যাঁ অবশ্যই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। এই ফাইনালটা হারিনি। অবশ্যই বড় কামব্যাক বলতে পারেন।
* তা আজ উদ্যাপন কেমন হলো?
নাজমুল: অনেক উদ্যাপন করেছি। মাঠ থেকে ফিরতে একটু দেরি হয়েছে এ কারণে। যখন জাতীয় সংগীত বাজল সেটা ভাষায় বোঝাতে পারব না। সবার ওপরে আমাদের পতাকা, পেছনে জাতীয় সংগীত বাজছে—এর চেয়ে সেরা মুহূর্ত আর কী হতে পারে! এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত।
* নেপালে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে কেমন সাড়া পেলেন?
নাজমুল: নেপালের দর্শকেরা আমাদের ভালোই খোঁজখবর রাখে। মাঠে নিয়মিত দর্শক এসেছে। যেখানে গিয়েছি, ছবি-সেলফি তুলেছে। মনে হয়েছে আমাদের ক্রিকেট তারা ভালো অনুসরণ করে। তারা আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চেনে সৌম্য সরকারকে। অনেক দিন ধরে সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে, সেটি একটি কারণ হতে পারে।